promotional_ad

কুমিল্লার রানের পাহাড়ে পিষ্ট খুলনা

ছবি- বিসিবি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


খুলনা টাইটান্সকে রানের পাহাড়ে পিষ্ট করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টাইটান্সদের ৮০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। এই ম্যাচ জিতে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে এসেছে ইমরুল কায়েসের দল।


২৩৮ রানের জবাব শুরুতে ভালোই দিচ্ছিল খুলনার দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং ব্রেন্ডন টেইলর। ওভার প্রতি প্রায় দশ রান করে তুলে নিচ্ছিল তারা দুইজনে। কিন্তু তাদের জুটি বেশীক্ষণ টিকতে দেননি কুমিল্লার তরুণ স্পিনার মেহেদি হাসান। দলীয় ৫৫ রানে ব্যক্তিগত ২৭ রান করা জুনায়েদকে ফিরিয়েছেন তিনি।


এরপর থেকে আসা যাওয়ার মাঝে থাকেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। দুই অংকের ঘরে গেলেও বিশ রান অতিক্রম করতে পারেননি শেষের ব্যাটসম্যানরা, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট ব্যতীত। রানের চাপের পাশাপাশি কুমিল্লার বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কুপোকাত হয়েছেন খুলনার ব্যাটসম্যানরা। শুধুমাত্র ওপেনার টেইলর ৩৩ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন খুলনার হয়ে, যা ছিল তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ।


রান নিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১১ রানে ফিরেছেন তিনি, ১৩ রান নিয়েছেন ডেভিড মালান, ১৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছেন নাজমুল হোসেন। শেষের দিকে এসে বিপিএলের চতুর্থ হ্যাট্রিক তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার এবং কুমিল্লার ফ্রন্ট লাইন পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি।


অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি নিয়েছেন ২৭ রানে তিন উইকেট। শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে ১৫৭ রানে থেমে যায় খুলনার ইনিংস। ৮০ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।


এদিকে ইনজুরির কারণে বেশ কয়েকটি ম্যাচ দলের বাইরে ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁহাতি ওপেনার এভিন লুইস। চট্টগ্রাম পর্বে দলে ফিরেই ব্যাট হাতে চেনা রূপে ধরা দিলেন লুইস, যেখানে ইনজুরির আগে ছিলেন নিস্প্রভ। টাইটান্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে ২৩৭ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা, যা বিপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দ্বিতীয় দলীয় সংগ্রহ।



promotional_ad

৩১ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ৪৭ বলে শতক হাঁকান তিনি। ৪৯ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন লুইস। কুমিল্লার ভাগ্য বদলে যায় টসে জিতে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণে। ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং এভিন লুইসের ব্যাটিংয়ে ৪৭ রানে কোন উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করেন তারা।


এরপর যদিও ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে রিয়াদের স্পিনে লন অফে ছক্কা মারতে গিয়ে ডেভিড ভিসের হাতে ধরা খান তামিম। ২৫ রানে ফিরেছেন তিনি। নতুন ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় নেমেই প্রথম বলে মারতে গিয়ে ফিরেছেন শূন্য রানে। দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে কুমিল্লাকে কিছুটা চেপে ধরেছিলেন রিয়াদ।


কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে খুলনার বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছিলেন লুইস। ৩১ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন। পর পর দুই উইকেট পতনের পর তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছিলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ৯৭ রানের জুটি গড়েন দুইজনে। ২১ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে কায়েস সাজঘরের পথ ধরেন। 


কায়েসর বিদায়ের পর একে একে ফিরেন থিসারা পেরেরা এবং শহীদ আফ্রিদি। কিন্তু তাণ্ডব চলতেই থাকে লুইসের ব্যাটে। তাঁর সাথে ব্যাটিং ছন্দে যোগ দেন শামসুর রহমান শুভ। শেষ ওভারে এসে বিশাল এক ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৭ বলে শতক হাঁকান লুইস। নির্ধারিত ২০ ওভার খেলে ৪৯ বলে ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন এই উইন্ডিজ তারকা।


১৫ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন শুভ। খুলনার সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৩৮ রানের। খুলনার হয়ে ৩২ রানে দুই উইকেট পেয়েছেন রিয়াদ। দুই উইকেট নিয়েছেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েটও।


দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়ে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন লুইস।


সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ



কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সঃ ২৩৭/৫ (২০ ওভার)


(লুইস ১০৯*, শুভ ২৮*; রিয়াদ ২/৩২)


খুলনা টাইটান্সঃ ১৫৭ অলআউট (১৮.৫ ওভার)


(টেইলর ৫০, জুনায়েদ ২৭; ওয়াহাব ৩/১৪)
 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball