১৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলবে ক্যারিবিয়ানরা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে চলতি মাসেই দেশ ছাড়বে উইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দল। আগামী ৩১শে জানুয়ারি থেকে ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই সিরিজটি।
এরই সাথে প্রায় ১৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে আসছে ক্যারিবিয়ান নারীরা। এর আগে ২০০৪ সালে সর্বশেষ পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিলো। নেদারল্যান্ডসের পর এশিয়ার বাইরের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সেবার খেলেছিলো তারা। তিন ম্যাচের টি টুয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি অনুষ্ঠিত হবে করাচীর সাউথএন্ড ক্লাব মাঠে। এই সিরিজের আগে দুবাইয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে দুই দল।
সিরিজের তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে। এরপর ৩০শে জানুয়ারি পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে উইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ান নারীদের আগমনের ব্যাপারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সুবহান আহমেদ জানিয়েছেন উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বেশ কৃতজ্ঞ তারা,

'উইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলের আগমনের খবরটি শুধুমাত্র পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্যই নয়, বরং পুরো নারী ক্রিকেটের জন্যই এটি দারুণ খবর। আমরা ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং তাদের ক্রিকেটারদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ পিসিবিকে বিশ্বাস করার জন্য এবং করাচীতে টি টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে রাজি হওয়ায়,' বলেছেন পিসিবির এই কর্মকর্তা।
পাকিস্তানে ক্রিকেট খেলা এখন যথেষ্ট নিরাপদ বলেও উল্লেখ করেছেন সুবহান। ক্যারিবিয়ানদের এই সফরটি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
'ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে পাকিস্তানে খেলা নিরাপদ অন্যান্য দেশের মতোই। পিসিবির পক্ষ থেকে, আমি বলতে চাই যে আমরা আত্মবিশ্বাসী এই সফরটি পাকিস্তানের মাটিতে পুনরায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা পালন করবে।'
ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনি গ্রেভও বেশ খুশি সফরটি নিয়ে। তাঁর বিশ্বাস পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তাই প্রদান করা হবে উইন্ডিজ নারী ক্রিকেট দলকে। গ্রেভের ভাষ্যমতে,
'এই সফরটি পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর ব্যাপারে প্রধান পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে এবং আমরা বেশ সন্তুষ্ট যে আমাদের খেলোয়াড়েরা এবং সাপোর্ট স্টাফরা এটি বুঝতে পেরেছে ও এটি সমর্থন দিয়েছে। গত বছর উইন্ডিজ পুরুষ ক্রিকেট দলকে যে নিরাপত্তা প্রদান করা হয়েছিলো এবার একই ধরণের ব্যবস্থা নারীদের ক্ষেত্রেও একই হবে।'