ঝড়ের পর সাজঘরে তামিম

ছবি:

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ-
খুলনা টাইটান্সঃ ১৮১/৭ (২০ ওভার)
(জুনায়েদ ৭০, আল আমিন ৩২; আফ্রিদি ৩/৩৫)
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সঃ ১১৫/১ (১২.১ ওভার)
এনামুল ৩৭*, ইমরুল ০*
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) শুক্রবার সন্ধ্যার ম্যাচে জুনায়েদ সিদ্দিকির বিধ্বংসী ইনিংসে লড়াকু পুঁজি পেয়েছে খুলনা টাইটান্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে বিশ ওভারে সাত উইকেটে ১৮১ রান করেছে দলটি।
দারুণ শুরুর পর সাজঘরে তামিমঃ
তামিম ব্যক্তিগত ৭৩ রানে লাসিথ মালিঙ্গাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন।
কুমিল্লার দলীয় শতকঃ
তামিম-এনামুলের দারুণ জুটিতে মাত্র ৬০ বলেই ১০৪ রান তুলে নেয় কুমিল্লা।

তামিমের অর্ধশতকঃ
ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ২৮ বলে দারুণ এক অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তামিম।
কুমিল্লার দলীয় অর্ধশতকঃ
তামিম-এনামুলের ব্যাটে মাত্র ৫.৪ ওভারেই দলীয় অর্ধশতক পূরণ হয় কুমিল্লার।
দারুণ শুরু কুমিল্লারঃ
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় কুমিল্লা।
প্রথম ইনিংস বিবরণঃ
ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। খুলনার হয়ে ওপেন করতে নামা জহুরুল ইসলামকে ম্যাচের চতুর্থ বলে খালি হাতে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। থার্ড ম্যান অঞ্চলে জিয়াউর রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন জহুরুল।
প্রথম ওভারে উইকেট পড়লেও দ্বিতীয় ওভার থেকে দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছেন জুনায়েদ সিদ্দিকি এবং আল আমিন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লে'তে দলীয় সংগ্রহ এক উইকেটে ৬৫ রানে নিয়ে যান দুই জন।
দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা আল আমিনকে নিজের প্রথম বলেই থামিয়েছেন শহীদ আফ্রিদি। বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে আল আমিন করেন ১৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৩২ রান।
আল আমিন- জুনায়েদ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৭১ রান। আল আমিন ফেরার পর উইকেটে এসেই দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু তাঁকেও থামিয়েছেন আফ্রিদি।
বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে নয় বলে দুই ছক্কায় ১৬ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। একপাশ আগলে রেখে দলের রান বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন জুনায়েদ। আগ্রাসী ভঙ্গিমায় খেলে চলতি আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন তিনি।
কিন্তু ব্যক্তিগত ৭০ রানে রানআউটের শিকার হয়ে ফিরেছেন জুনায়েদ। ৪১ বল খেলে চারটি চার ও চারটি ছক্কায় এই রান করেছেন তিনি। জুনায়েদ ফিরলে রান বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন ডেভিড মালান।
কিন্তু ২৫ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২৯ রান করে আফ্রিদির বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান তিনি। শেষমেশ সাত উইকেটে ১৮১ রান করে থেমেছে খুলনার ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে ৩৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেছেন আফ্রিদি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশঃ
এনামুল হক (উইকেটরক্ষক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), থিসারা পেরেরা, শামসুর রহমান, শহীদ আফ্রিদি, লিয়াম ডসন, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান, জিয়াউর রহমান।
খুলনা টাইটান্স একাদশঃ
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিকি, লাসিথ মালিঙ্গা, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, জুনায়েদ খান, জহুরুল ইসলাম (উইকেটরক্ষক), ডেভিড মালান, আল আমিন।