সাহসী মেহেদির প্রশংসায় তামিম

ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপে গড়া সিলেট সিক্সার্সকে একাই নাস্তানাবুদ করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তরুণ স্পিনার মেহেদি হাসান। যে কোন ব্যাটসম্যানকেই আউট করার পণ নিয়ে বোলিং করেন মেহেদি। ২৪ বছর বয়সী মেহেদির এমন সাহসিক মনোভাবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুমিল্লার অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবাল।
নতুন বলে বোলিং করতে এসেই প্রতিপক্ষের দুর্গে আঘাত হেনেছেন তিনি। ২২ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সিলেট সিক্সার্সকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন ডানহাতি এই স্পিনার। লাইন লেন্থ এবং নিখুঁত বোলিং করে প্রতিপক্ষের ডেভিড ওয়ার্নার, আন্দ্রে ফ্লেচার, আফিফ হোসেন এবং সোহেল তানভীরের মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মেহেদির আত্মবিশ্বাস এবং অসাধারণ বোলিংয়ের গুণগান গেয়েছেন তামিম। তাঁর ভাষায়,
'ওর আত্মবিশ্বাস আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে। সে মনে করে সে যে কোনো ব্যাটসম্যানকেই আউট করতে পারবে। এটা বড় ব্যাপার তাঁর জন্য। আর সে খুবই নিখুঁত। খুব কম বাজে বল দেয় সে। সে এমন বোলার যার বিপক্ষে বাজে বলের অপেক্ষা না করে আপনাকে সুযোগ নিতে হবে। সে আপনাকে বাজে বল দিবে না।'
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এসেই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারকে চার রানে ফেরানর পর শূন্য রানে ফিরিয়েছেন টি-টুয়েন্টির অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ওয়ার্নারকে। একই ওভারেই লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে খালি হাতে ফিরিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেনকে।
হ্যাট্রিকের সামনে ছিলেন মেহেদি, তবে সেটা না হলেও ওভার হ্যাট্রিক করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই প্রথম উইকেট নেয়ার পর ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেই আরেকটি পাকিস্তানি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সোহেল তানভীরের উইকেট তুলে নেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় সিলেট। ১১.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।