অভিষেকে আলো ছড়িয়েছেন শরিফুল

ছবি: ছবিঃ- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
উইকেট পেলেই হয়তো রংপুরের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচটি স্মরণীয় করতে পারতেন খুলনা টাইটান্সের পেসার শরিফুল ইসলাম। দুর্ভাগ্য তাঁর, ভালো বোলিং করেও উইকেট মেলেনি।
চার ওভারে মাত্র ৩০ রান দিয়েছেন তিনি। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। পঞ্চগড়ের এই তরুণ পেসার অবশ্য ২০১৭ সাল থেকেই ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ জনপ্রিয়।
৬ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতা হওয়ায় এই পেসার বাড়তি সুবিধা পান নিজের বোলিংয়ে। বাউন্সের সাথে অল্প বয়সেই রপ্ত করে নিয়েছেন কাটার।

বয়স মাত্র ১৭, এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদার আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ। সাধারণত যারা প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ পান তাদের অনেকেরই প্রথম অথবা দ্বিতীয় বিভাগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকে।
কিন্তু এক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম এই তরুণ। কেননা প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বিভাগে খেলার কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াই ডিপিএলের গত আসরে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।
কথিত আছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার জহুরুল ইসলামের অনুরোধেই জাতীয় লীগে সুযোগ হয়েছিল শরিফুলের। তৃতীয় বিভাগ থেকে সরাসরি জাতীয় লিগে খেলার ঘটনা বিরলই বলতে হবে।
বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে প্রথম বিভাগের খেলোয়াড় না হলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা যায় না। শরীফুলকে সুযোগ পাইয়ে দেয়ায় সেই সময় অনেক সমালোচনায়ও পড়েছিলেন জহুরুল।
তবে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেই সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন শরিফুল। এখন পর্যন্ত আটটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন তিনি। নিয়েছেন ২.৯৮ ইকোনমি রেটে ২২ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৫৪ রান খরচায় সাত উইকেট।
লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন ১৮ টি। ৫.৬৭ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ৩৩ টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৫০ রান খরচায় চার উইকেট। গেল ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ইমার্জিং কাপের দলেও খেলেছেন শরিফুল।
তার আগের মাসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে খেলেছিলেন শ্রীলংকার মাটিতে। তারও আগে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে আয়ারল্যান্ড সফরেও গিয়েছিলেন তিনি। টি-টুয়েন্টি অভিষেক আগস্টের সেই সফরেই হয়েছিল শরিফুলের।