বাংলাদেশকে মাঝারি লক্ষ্য দিয়েছে উইন্ডিজরা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
উইন্ডিজ-১৯৮/৯ (৫০ ওভার) (হোপ-১০৮*), (মিরাজ ২৯/৪)
টসঃ বাংলাদেশ
সিলেটে বাংলাদেশকে সিরিজ জয়ের জন্য ১৯৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে সফরকারী উইন্ডিজ দল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে শেই হোপের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানের পুঁজি পায় ক্যারিবিয়রা। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
মিরপুরে ১৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলার পর সিলেটে সেই ফর্ম নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন হোপ। ইনিংসের শুরু থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের বিপক্ষে দেখে শুনে খেলেছেন, দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও একপ্রান্তে থিতু হয়ে ব্যাট করে ১২১ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। উইন্ডিজ মিডেল অর্ডার-টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের একাই সাজঘরে ফিরিয়েছেন এই স্পিনার।

এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার চন্দরপল হেমরাজের উইকেটটি তুলে নেন টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজকে কাট করতে গিয়ে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার।
এরপর ড্যারেন ব্রাভোকে সঙ্গে দিয়ে হাল ধরেন শেই হোপ। কিন্তু দলীয় ৫৩ রানে ব্রাভোকেও বোল্ড করে বিদায় করেন মিরাজ। ২ উইকেট হারানো উইন্ডিজরা স্যামুয়েলস এবং হোপের ব্যাটে দলীয় ১০০'র দিকে হাঁটতে থাকে।
দেখে শুনে খেলে ফিফটিও তুলে নেন হোপ। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। শাই হোপের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়লেও পেস বোলার মোহাম্মাদ সাইফউদ্দিনের বলে ১৯ রানে বোল্ড হয়ে বিদায় নিতে হয় মারলন স্যামুয়েলসকে। স্যামুয়েলসকে ফেরানোর পরই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
এরপর বল হাতে জোড়া আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শেমরন হেটমায়ারকে ০ রানে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে চলতি সিরিজে এই নিয়ে তাঁকে ষষ্ঠ বারের মতো সাজঘরে ফেরত পাঠান মিরাজ। এর এক ওভার পর নিজের শেষ ওভারে বোলিংয়ে এসে উইন্ডিজ দলপতি রভম্যান পাওয়েলকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় করেন মিরাজ।
খানিকপর সাকিব আল হাসানের বলে দলীয় ১৩৩ রানে লং অফ অঞ্চলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন রস্টন চেজ। চেজ বিদায় নেয়ার পর ক্রিজে নেমেছিলেন ফ্যামিয়েন অ্যালেন।
ইনিংসের প্রথম ১৩ বলে কোন রান নিতে না পেরে চাপমুক্ত হতে লং অন অঞ্চলে সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এর পরের বলেই আবার সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে মোহাম্মাদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি।
আগের ম্যাচে বড় জুটি গড়ে উইন্ডিজদের জয় এনে দিয়েছিলেন কিমো পল এবং শেই হোপ। এই ম্যাচেও জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন দুজন। কিন্তু ইনিংসের ৪৪ তম ওভারে কিমো পলের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ১২ রান করে বিদায় নেন তিনি।
তবে শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শতকের পথে হাঁটতে থাকেন হোপ। ইনিংসের ইনিংসের ৪৮তম ওভার সাকিব আল হাসানের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতক তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানের পুঁজি পায় উইন্ডিজরা। শেই হোপ অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।
বাংলাদেশ একাদশঃ
তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ একাদশঃ
চন্দরপল হেমরাজ, শাই হোপ, (উইকেটরক্ষক), ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), রস্টন চেজ, ফাবিয়ান অ্যালেন, কিমো পল, দেবেন্দ্র বিশু, কিমার রোচ।