কোহলির ইমেইল ফাঁস

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ভিরাট কোহলির ইন্ধনেই ভারতের সাবেক কোচ অনিল কুম্বলেকে চাকরিচ্যুত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এই অভিযোগের পক্ষে আরও প্রমাণাদি খোঁজ মিলেছে। বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহীর সাথে কোহলির আদানপ্রধানকৃত মেইল বার্তা ফাঁস হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তাদের কোন্দলের পরে বেশ কিছু ইমেইল নজরে এসেছে বিসিসিআইয়ের। ক্রিকইনফোর দাবী, বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জহুরীর কাছে কুম্বলেকে নিয়ে বেশ কিছু ইমেইল পাঠিয়েছেন কোহলি।
এসব ফাঁস করেছেন বোর্ড কর্মকর্তা ডায়না এডুলজি। তিনি জানিয়েছেন, কোচ নিয়োগে কোহলি কিভাবে ক্রিকেট বোর্ডে নিজের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। এসব বিষয় মিডিয়ার সামনে এসেছে ভারতের নারী ক্রিকেট দলের কোচ নিয়োগ সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে।

কিছুদিন আগে নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে কোচ রমেশ পাওয়ারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এনেছেন মিতালি রাজ। পাওয়ারও অবশ্য পাল্টা চিঠিতে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন। এরপরে অবশ্য পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি না বাড়িয়ে নতুন করে কোচ খোঁজা শুরু করে বিসিসিআই।
তারপরে আবার নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হরমনপ্রিত কর ও সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা কোচ হিসেবে রমেশ পাওয়ারকে রেখে দেওয়ার আবেদন জানান। এসব ঘটনার পর কোচ পাওয়ারের পক্ষ নিয়ে ডায়না এডুলজি বলেন,
'ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি (সিএসি) চাওয়ার পরেও কুম্বলেকে কোচের পদে মেনে নেননি কোহলি। কোচ নিয়োগ নিয়ে নারী ক্রিকেটারদের মেইল পাঠানোতে আমি কোনো সমস্যা দেখছিনা।
'তাঁরা শুধুই নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। কোহলি যখন কোচ বদলের জন্য বোর্ড সিইওকে বারবার মেইল করতেন তখন আপনারা তা মেনে নেন এবং কোচিংয়ে পরিবর্তন আনেন। কুম্বলের মতো গ্রেটকে কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয়।'
শেষে বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রীকে নিয়ম ভঙ্গ করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, 'রবি শাস্ত্রীকে কোচ করা হয় কোহলির কথা শুনে। সেখানে সৌরভ-শচিন-লক্ষণকে নিয়ে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির ভূমিকা ছিল নামে মাত্র। বোর্ডের সিইও নিয়ম ভঙ্গ করেছেন।'