হোপের সেঞ্চুরিতে সিরিজে সমতা আনল উইন্ডিজরা

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
বাংলাদেশঃ ২৫৫/৭ (৫০ ওভার) (সাকিব-৬৫, মুশফিক- ৬২), (থমাস- ৩/৫৪, বিশু-১/২৭)
উইন্ডিজঃ ২৫৬/৬ (৪৯।২ ওভার) (হোপ- ১৪৬*, পল ১৮*), (রুবেল ৫৭/২, ৬৩/২)
লক্ষ্যঃ ২৫৬ রান
ফলঃ ৪ উইকেটে জয়ী উইন্ডিজরা
টসঃ উইন্ডিজ (ফিল্ডিং)
সিরিজে সমতাঃ
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে দলকে একই জয়ের বন্দরে নিয়ে গিয়েছেন উইন্ডিজ উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপ। সপ্তম উইকেট জুটিতে কিমো পলের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবিয়ানদের সিরিজে সমতা আনতে সাহায্য করেন তিনি। ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হোপ।
হোপের সেঞ্চুরিঃ বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলেও দুর্দান্ত শতক তুলে নিয়েছেন শাই হোপ। ১১৮ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ডানাহতি ব্যাটসম্যান। তাঁর ব্যাটে ভর করেই জয়ের পথে হাঁটছে উইন্ডিজরা।
মুস্তাফিজের দ্বিতীয়ঃ ৩৯ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে রস্টন চেজকে চাপে ফেলে উইকেট তুলে নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত ৯ রানে মিড অঞ্চলে তামিম ইকবালকে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। চেজ ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে হাঁটছেন শাই হোপ।

রুবেলের দ্বিতীয় এবং মাশরাফির প্রথমঃ
০ রানে জীবন পেলেও সেটাকে কাজে লাগাতে পারেন নি হেটমায়ার। ব্যক্তিগত ১৪ রানে রুবেল হোসেনের বলে নাজমুল হোসেন অপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। খানিক পর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকে শর্ট মিড অন অঞ্চলকে ক্যাচ আউট করে বিদায় করেন অধিনায়ক মাশরাফি।
মুস্তাফিজের ব্রেক থ্রুঃ
শাই হোপ এবং মারলন স্যামুয়েলস মিলে দেখে শুনে খেলে দলের রান বাড়ালেও বাংলাদেশকে বড় ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যক্তিগত ২৬ রানে মুস্তাফিজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিইয়ে ফেরেন তিনি। এরপরের ওভারে হেটমায়ারকে বিদায় করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। রুবেল হোসেনের বলে শর্ট ফাইন লেগে হেটমায়ারের ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন ইমরুল। ০ রানে জীবন পান তিনি।
হোপের ফিফটিঃ
তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন শাই হোপ। প্রথমে ব্রাভোর সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ার পর এবার স্যামুয়েলসকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরে খেলছেন তিনি। ইতিমধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সেই সঙ্গে দলকে ১০০ রানের পুঁজিও এনে দিয়েছেন তিনি।
জুটি ভাঙ্গলেন রুবেলঃ
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন শাই হোপ এবং ড্যারেন ব্রাভো। দুজনই বড় ইনিংস খেলা আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু ইনিংসের ১৭ তম ওভারে এসে রুবেলের ব্যাক অফ দা লেন্থের বলকে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ব্রাভো। তিনি বিদায় নেন ২৭ রান করে। ব্রাভোর বিদায়ে ক্রিজে নেমেছেন স্যামুয়েলস।
চাপে উইন্ডিজঃ
শুরুতে উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ানদের দুই প্রান্ত থেকে স্পিন আক্রমণ চালিয়ে চাপে রাখে বাংলাদেশ। যদিও ইনিংসের অষ্টম ওভার থেকে খানিকটা হাত খুলে খেলতে শুরু করেছে তাঁরা। মিরাজ এবং সাকিব মিলে উইন্ডিজ দুই ব্যাটসম্যানকে প্রথম ছয় ওভারে কোন বাউন্ডারি হাঁকাতে না দিলেও ড্যারেন ব্রাভো এবং শাই হোপ মিলে দেখে শুনে স্কোরবোর্ডে রান যোগ করছেন।
শুরুতেই মিরাজের উইকেটঃ
বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভ???রেই চন্দরপল হেমরাজের উইকেটটি তুলে নিয়েছেন টাইগার অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। হেমরাজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেছেন তিনি। ফলে মাত্র ৫ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
এর আগে এই ম্যাচে শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৫৫ রানের পুঁজি পেয়েছিলো বাংলাদেশ। টাইগারদের এই রানের পেছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন দলের তিন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসান।
কেননা তাঁদের প্রত্যেকেই হাঁকিয়েছেন অর্ধশতক। তামিম ৫০ রান করে ফিরলেও মুশফিক এবং সাকিব যথাক্রমে ৬২ ও ৬৫ রান করেছেন। এছাড়াও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেছেন ৩০ রানের আরেকটি কার্যকরী ইনিংস। ব্যাটসম্যানদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উইন্ডিজদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় মাশরাফি বাহিনী।
উইন্ডিজদের পক্ষে এদিন সবথেকে সফল বোলার ছিলেন পেসার ওশানে থমাস। ৫৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কিমার রোচ, কিমো পল, দেবেন্দ্র বিশু এবং রোভম্যান পাওয়েল।
বাংলাদেশ একাদশঃ
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
উইন্ডিজ একাদশঃ
রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), মারলন স্যামুয়েলস, ড্যারেন ব্রাভো, দেবেন্দ্র বিশু, চন্দরপল হেমরাজ, রস্টন চেজ, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), শিমরন হেটমায়ার, কিমার রোচ, কিমো পল, ওশানে থমাস।