উইন্ডিজ পেশি শক্তি রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ

ছবি: ছবিঃ- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
উইন্ডিজ দলের বেশীরভাগ ক্রিকেটারই শক্তিমত্তা তথা পেশি শক্তির দিক থেকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশের থেকে। আর এই বিষয়ে প্রথম ওয়ানডের আগে দুশ্চিন্তায় ছিলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ম্যাচের আগের দিনই বলেছিলেন, পেশি শক্তির ব্যবহারে যেকোনো অবস্থা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। তবে রবিবারের ম্যাচে দেখা গেল বিপরীত চিত্র।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো উইন্ডিজ দলের ব্যাটসম্যানরা প্রায় সময়ই চড়াও হতে চেয়েছিল টাইগার বোলারদের বিপক্ষে। কিন্তু টাইগার বোলারদের চাতুর্যপূর্ণ বোলিংয়ে ফল মেলেনি তাতে। এর কৃতিত্ব পুরোপুরিই বোলারদের দিচ্ছেন টাইগার অধিনায়ক।
'দুইটাই (উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা পেশি শক্তি ব্যবহারে ব্যর্থ এবং টাইগার বোলারদের দারুণ বোলিং) আমার মনে হয়। ওরা চেষ্টা করেনি তা না, চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যখনই চেষ্টা করেছে তখনই আউট হয়েছে।
'যেমন স্যামুয়েলস যখন শুরু করছিল বা ব্রাভো যখন করছিল। হয়ত কেমো (পল) ছাড়া কেউ ব্যবহার করতে পারেনি। এমনকি হেটমায়ার এসে প্রত্যেক বলেই সুযোগ নিচ্ছিল। বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হয়।'
ম্যাচে ২৮ বল খেলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৬ রান করেছেন কেমো পল। তবে ৪৮ বল খেলে ২৫ রান করে রুবেল হোসেনের বলে ফিরেছেন দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মারলন স্যামুয়েলস। স্যামুয়েলস ফিরে যাওয়াতে একটু বেশিই স্বস্তি পেয়েছেন অধিনায়ক।
'মিরপুরের উইকেট যেটা বললাম ক্রমাগত আক্রমণাত্মক খেলা কঠিন। একেবারে থিতু না হওয়া পর্যন্ত। সেক্ষেত্রে স্যামুয়েলসকে নিয়ে একটা ভয় ছিল যে ও যেহেতু অনেকক্ষণ ব্যাটিং করছিল। ভাগ্যবশত রুবেলের বলটা এতটা জোরে লাগেনি। এছাড়া আমার মনে হয় বোলাররা ভাল জায়গায় বল করতে পেরেছে।'