ফিজের প্রথম শিকার

ছবি: মুস্তাফিজুর রহমান, সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
উইন্ডিজঃ ৭/১৭৯ (৪৮ ওভার) (পল-২৫*, রোচ- ৬*)
টস- উইন্ডিজ (ব্যাটিং)
মুস্তাফিজের প্রথমঃ
৪৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নিজের প্রথম উইকেট পেলেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ফিজের করা লেন্থ ডেলিভারিটি স্কয়ার লেগে মারতে গিয়েছলেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান রস্টন চেজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। ফলে উইন্ডিজদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান।
রুবেলের শিকার স্যামুয়েলসঃ
ব্যাট হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই সাজঘরে ফিরতে হলো ক্যারিবিয়ান হার্ডহিটার মারলন স্যামুয়েলসকে। রুবেল হোসেনের করা ৪০তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি লং অন অঞ্চল দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন স্যামুয়েলস।
কিন্তু সেই লক্ষ্যে আর পৌঁছুতে পারেননি তিনি। কেননা লং অনে লিটন কুমার দাসের হাতে ধরা পরে আউট হতে হয়েছে তাঁকে। ২৫ রান করে স্যামুয়েলস ফেরায় উইন্ডিজদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ১২৯ রান।
মাশরাফির তৃতীয় শিকারঃ
উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩৭ তম ওভারের প্রথম বলেই উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন তিনি। মাশরাফির বলটি মিড অফ অঞ্চল দিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন পাওয়েল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত লিটনের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি উইকেট শিকার করলেন টাইগার কাপ্তান। উইন্ডিজদের স্কোর এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১২২ রান।

পাওয়েলের ক্যাচ ফেললেন রুবেলঃ
সাকিবের করা ৩২ তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি আউটসাইডের বাইরে ছিলো কিছুটা। ডানহাতি উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল হয়তো চেয়েছিলেন বাউন্ডারি হাঁকাতে। আর এই কারণে তুলেই মারতে গিয়েছিলেন মিড অফ অঞ্চলে। বলটি লুফে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন পেসার রুবেল হোসেন। কিন্তু ঠিক মতো তালুবন্দি করতে পারেননি তিনি। ফলে প্রথম জীবন পেয়েছিলেন পাওয়েল।
মিরাজের শিকার হেটমায়ারঃ
টানা পঞ্চমবারের মতো মেহেদি হাসান মিরাজের শিকারে পরিণত হলেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার। গত টেস্ট সিরিজে চার বার এই মিরাজই সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন তাঁকে। মিরাজ 'জুজু' থেকে এবারও ছুটতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
২৯তম ওভারের প্রথম বলটিতেই হেটমায়ারকে সরাসরি বোল্ড করে দেন মিরাজ। তাঁর লেন্থ ডেলিভারিটি কিছুটা নিচু হয়ে আসায় ব্যাটে বলে করতে ব্যর্থ হন এই ক্যারিবিয়ান। ফলে বলটি উইকেটে আঘাত হানে সরাসরি।
মাশরাফির দ্বিতীয় আঘাতঃ
২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয়বারের মতো উইন্ডিজ শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ক্রমাগত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপকে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন তিনি। মাশরাফির করা আউটসাইডের বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে তুলে মারতে যেয়ে মিরাজের অসাধারণ একটি ক্যাচে আউট হন হোপ। ৪৩ রান করে ফিরেছেন এই ওপেনার।
ব্রাভোকে ফেরালেন মাশরাফিঃ
অধিনায়ক মাশরাফির করা ২১তম ওভারের চতুর্থ বলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ক্যারিবিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভোকে। মাশরাফির করা বলটি লং অফ দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন ব্রাভো। কিন্তু ডিপ এক্সট্রা কাভারে দৌড়ে এসে অবিশ্বাস্যভাবে বলটি লুফে নেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ফলে ১৯ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হলো এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানকে। দুই বার জীবন পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি ব্রাভো।
দ্বিতীয়বার জীবন পেলেন ব্রাভোঃ
রুবেল হোসেনের করা ২০ তম ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় বারের মতো ক্যাচের সুযোগ দেন উইন্ডিজ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ড্যারেন ব্রাভো। রুবেলের ফুলার লেন্থ ডেলিভারিটি তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু টাইগার উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম বলটি ধরার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। ফলে দ্বিতীয় জীবন লাভ করেন ২৯ বছর বয়সী ব্রাভো।
ব্রাভোকে জীবন দিলেন আরিফুলঃ
১৬তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন ড্যারেন ব্রাভো। কিন্তু সেই ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন বদলী ফিল্ডার আরিফুল হক। ফলে ১৪ রান করা ব্রাভো প্রথম জীবন পান ব্রাভো।
সাকিবের প্রথম আঘাতঃ
অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে ক্যারিবিয়ান ওপেনার কাইরন পাওয়েলের উইকেটটি তুলে নেন টাইগার স্পিনার সাকিব আল হাসান। সাকিবের করা ওভারের শেষ বলটি তুলে মারতে গিয়ে ঠিক মতো ব্যাটে বলে না হওয়ায় রুবেল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
শুরুতেই বোলিংয়ে মিরাজঃ
স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিং শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। এরপর বোলিং করতে নেমে প্রথম ওভারটিই শুরু করেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। মিরাজের প্রথম ওভার থেকে ক্যারিবিয়ানরা নিয়েছিলো ২রান।
বাংলাদেশ একাদশঃ
মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
উইন্ডিজ একাদশঃ
রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রস্টন চেজ, কাইরন পাওয়েল, দেবেন্দ্র বিশু, কিমো পল, ওশানে থমাস, কিমার রোচ।