ক্রিকেট, নির্বাচন ও মাশরাফি

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহন ইস্যুতে মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমী প্রাঙ্গনে বিশেষ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির বক্তব্য প্রশ্ন উত্তর আকারে তুলে ধরা হলো।
প্রেস কনফারেন্স নিয়ে
খেলার আগে এই নিয়ে আপনাদের সাথে আর কোন প্রশ্ন না হোক, এই জন্য যেটা করার এখনই করে ফেলা আর কি।
নির্বাচনে অংশগ্রহনের খেলার প্রতি ফোকাস
আমার কাছে একদমই না। আমার মানসিকতায় একদমই নেই। আমার পুরোপুরি অনুশীলনে মন আছে। অবশ্যই ১৪ তারিখের পর আমি ওইখানে মনোযোগ করবো। ওই খানে যা করার ১৪ তারিখের পর... এর আগে পুরোপুরি মনোযোগ খেলার রাখবো।
কেন নির্বাচন আর ক্রিকেটের প্রতি আওয়ামীলীগের অবদান যা আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে
প্রথমত ধরেন, আমি যদি বিশ্বকাপ পর্যন্ত ধরেন, আমি যেটা চিন্তা করেছি... আর সাত থেকে আট মাস বাকি আছে। বিশ্বকাপের পর আমার ক্যারিয়ার যদি শেষ হয়, পরের সাড়ে চার বছরে কি হবে আমি জানি না। আর আমার একটা সুযোগ আসছে, যেটা আমি উপভোগ করি সবসময়, মানুষের সেবা করার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন, আপনারা জানেন যে আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে, আমার এলাকার জন্য কিছু কাজ করার।
আমার মনে হয় এটা আমার জন্য দারুন সুযোগ, তাদের জন্য কাজ করার।স্রেফ এখান থেকেই মনে হয়েছে, হয়তো সাড়ে সাত-আট মাস পর তো আবার জাতীয় নির্বাচন হবে না। ক্রিকেট না, অন্য স্পোর্টসেও, আমাদের জন্য পারফর্মেন্সটা সবার আগে। বাংলাদেশ ক্রিকেট সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কিনা, সেটা অবশ্যই আপনারা জানেন, বাংলাদেশ এখন আগের থেকে অনেক ভালো দল। সুযোগ সুবিধাও আগের থেকে অনেক বেশি আছে। আমার বিশ্বাস সামনে আরও এগিয়ে যাবে।
ঘরের মাঠে শেষ ওয়ানডে সিরিজ নির্বাচনের কারণে আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছে, বিষয়টি কিভাবে দেখেন
প্রথমত আমি বলেছি, আমার মাইন্ড সেট আপ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্যন্ত মনে হচ্ছিল আমি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর পারবো কিনা জানি না। তারপরও আমার ফিটনেস পারফর্মেন্স ঊনিশ পর্যন্ত চলছিল বলে আমি মোটামুটি এগিয়েছি। সেটাই বলছি আমার বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাইন্ড সেট আপ আছে।
তারপর রিভিউ করার সুযোগ আছে, আমি যদি সেই অবস্থায় না থাকি তাহলে অবশ্যই আমাকে কুইট করতে হবে। আর যদি থাকেন তাহলে অবশ্যই আমি চেষ্টা করবো, তার আগেও যে কোন কিছু হতে পারে। ২০১১ বিশ্বকাপের পর আপনাদের এখানেই ৫০% বিশ্বাস করেছিল যে আমার ক্যারিয়ার শেষ। আল্লার রহমতে আরও সাত বছর ক্যারি করতে পেরেছি। ওইখানে আমার ফ্যামিলির সবাই ভেবেছিল আমি পারবো কিনা।
শেষ সিরিজ নিয়ে
আমার কাছে এ নির্বাচনে আসার আগেও যেমন ছিল সেই সসিরিজটাও সেরকম। আমার শেষ আর শুরুতে কিছু আসবে না। তবে অবশ্যই সিরিজটা জিততে চাই। আমার চোখে ঠিক আট দশটা সিরিজ যেভাবে খেলছি এটাও তাই।
ক্রিকেটের বাইরে পলিটিক্যাল মানুষজনের সাথে উঠা বসা
না এখনও ঘুরার সুযোগ পাই নি। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। সিরিজটা খেলার পর যাবো। নড়াইলের মানুষজনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমি যেতে পারি নি, গেলে আমার যেই কাজ গুলো আছে সেগুলো আমি করবো।
কি ভেবে নির্বাচন
এটা বললাম আগে, আমার ক্যারিয়ার অবশ্যই শেষের দিকে। না আমি শচিন টেন্ডুলকার না আমি ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ স্মরণ রাখবে। আমি আমার মত করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার স্ট্রাগলিং লাইফে যতটুক পেরেছি খেলেছি। তবে আমি সবসময় এঞ্জয় করেছি মানুষের জন্য কাজ করতে পারা। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিল বলতে পারেন। যেই সুযোগটা আমি বললাম, মাননিয় প্রধান মন্ত্রী দিয়েছে, বৃহৎ পরিসরে যদি কিছু করা যায়।
ভিন্ন দলের মন্তব্য
আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে আপনার নিজের পারসনালিটি থাক উচিত। আপনি যদি কোনো দলকে সাপোর্ট করেন তাহলে অবশ্যই সেটা প্রকাশে বলা উচিত। এমন অনেকেই আছে যারা সাপোর্ট করে কিন্তু বলতে পারে না। প্রত্যেকে যে যার দল করে তাঁর সম্মানটা থাকা উচিত এবং তাঁর মতে করে দেশের জন্য কাজ করবে এই মানসিকতাই থাকা উচিত। যারা কমেন্ট করছে বা করবে তা আমার নিয়ন্ত্রণে নাই।
তিন দিন পরে সিরিজ, সব কথা রাজনীতি নিয়ে, পুরোপুরি ক্রিকেটে আছেন?
এইজন্যই (রাজনীতি নিয়ে) আমি আজ প্রেস কনফারেন্সে আসছি যাতে পোস্ট ম্যাচে আর কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা না বলেন। না হলে ম্যাচের আগের দিন যদি প্রেস কনফারেন্স করতাম এই প্রশ্নগুলো তখন হতো। আমি ব্যক্তিগভাবে মনে করেছি আপনাদের মনে যদি প্রশ্ন থাকে তাহলে এখনি ফ??স করা উচিত।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হিসেবে এলেন না ব্যক্তিগতভাবে এলেন
আমি ব্যক্তিগতভাবেই বলেছি, কালকে রাবিদ ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। যে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তরগুলো দেওয়া উচিত আমার মনে হয়। আজ হোক কাল হোক আমার সামনা সামনি হতেই হতো। খেলার মধ্যে যাতে এই প্রশ্নগুলো না হয় এইজন্যই আমার আসা।
বিশ্বকাপের পরও খেলবেন কিনা রিভিউ করবেন, সাংসদ হয়ে গেলে আর খেলাটা চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কিনা

প্রথমত আমার লক্ষ্য বিশ্বকাপ পর্যন্তই থাকবে। বিশ্বকাপ পর্যন্ত আট মাসের ব্যাপার। আট মাস পর্যন্ত যেভাবে খেলে আসছি ওইভাবে খেলার চেষ্টা করব। আমার পারসোনাল গোলও ছিল বিশ্বকাপ। পরে সেটা রিভিউ করব কিনা সেই সময়ই বলে দেব।
দেশের মাশরাফি থেকে দলের মাশরাফি হওয়া
এটা খুবই স্বাভাবিক। উদ্দেশ্য যেটা আমার পরিস্কার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, যদি সুযোগ পাই কাজ করব। আগেও বললাম আমি বিশ্ব ক্রিকেটে আমি এমন কোন সুপারস্টার না আট মাস পরে আমি যখন খেলা ছেড়ে দিব তখন জনে জনে মানুষ স্মরণ করবে।
তরুণদের কি স্বপ্ন দিতে চান। এরকম তরুণ এসে অনেক স্বপ্ন দেখিয়ে, অনেক বড় বড় কথা শুনি। আপনি গতানুগতিক রাজনীতিতে গা ভাসাবেন না বলে কতটা কনফিডেন্ড।
দেখেন আমি স্বপ্ন দেখাতে আসিনি। যদি গতানুগতিক হয়ে থাকে গতানুগতিক কথা বলতেও চাই না। যেটা হয়ত কাল আপনি মিলাতে পারবেন না। সেই সুযোগটা যদি আমার আসে, এখনি চিন্তা করার সুযোগ নাই যে আমি নির্বাচিত হয়ে গেছি। নির্বাচিত হওয়ার পর যদি আপনাদের মনে হয় রিভিউ করতে আমার কাজ তখন করবেন। এখন আসলে বলা কঠিন।
নড়াইলের সমর্থন
সাপোর্ট আলহামুদুলিল্লা ভাল আছে। আমি পারসোনালি এখনি যেতে পারিনি তাই টোটালি বলাটা কঠিন। খেলার পরে গেলে বুঝতে পারব।
বিসিবি প্রধান, প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা
না কারো সঙ্গে ইন্ডিভিজ্যুয়ালি কথা হয়নি।
কোটা আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে কথা বলেননি দেশ নিয়ে
না আমি তখন কোটা আন্দোলন নিয়ে যেটা হয়েছে। এত গভীর রাজনীতি আমি করিনি, জানিও না। যেটা পরিস্কারভাবে বললাম আমার উদ্দেশ খুব সিম্পল, যেটা মানুষের জন্য করে শান্তি পাই। টাচ পাই। ততটুকু।। আমাকে যদি ডিপ লেভেলের পলিটিশিয়ান ভাবেন সেটা আমি এখনো হয়তবা না, হইনি। সো আমাকে ওই পর্যায়ে ভাবলে আমার প্রতি অবিচার হবে। আমার অভিজ্ঞতাটা একদমই নতুন। তবে আমি যেটা বলেছি ভাল কাজ করতে চাই। সেটা হয়ত সামনে দেখা যাবে কতটুকু করতে পারি।
দেশের ক্রিকেটে মাশরাফির চিন্তা কি
দেশের ক্রিকেটের কথা যেটা বললাম, আলহামুদুল্লিহা ভালই চলছে। এখন যারা আছেন ক্লিয়ারলি বলতে পারেন। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু সাপোর্ট দেওয়ার ততটুকু দেব।
বোর্ডে আসতে চান কিনা
আমি তো আগেই বললাম সামনে কি হবে জানি না। নির্বাচন হলে নির্বাচনে জিততে হবে। সো এই পর্যায় পার না হলে বলা যায় না কিছুই।
নড়াইল ফাউন্ডেশন দিয়ে তো কাজ করছিলেন, রাজনীতিতেই কেন যোগ দিতে হবে
এবার আপনাকে আমি জিজ্ঞেস করি আমার ফাউন্ডেশনে কি কি কাজ হয়েছে বলতে পারবেন?
হ্যা রাস্তা তৈরি করেছেন...হাসতাপালের প্লান করছে...
একটাও কিন্তু ঠিক হয়নি। আমি রাস্তা কিন্তু করতে পারিনি। যে আপনাদের সব কিছু ক্লিয়ার না কিন্তু। আই ফাউন্ডেশন করে যেটা বুঝেছি, অনেক কিছুই কাজ করেছি। এটা সত্যি কথা। মানুষ জানে না, এমনকি নড়াইলের মানুষও জানে না। যেটা বললাম করার চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন যে আরেকটু বড় পরিসরে করা সেটাই।
ওভারঅল স্পোর্টসের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা
এগুলা তো অনেক পরের ব্যাপার, এখন কীভাবে বলব।
কেন রাজনীতি
এবার আপনাকে আমি কথা বলি। আপনাদের সবকিছু ক্লিয়ার না। আমি ফাউন্ডেশন করে এটা বুঝেছি, আমি অনেক কিছুই কাজ করেছি, এটা সত্যি কথা কিন্তু মানুষজন জানে না। এমনকি নড়াইলের মানুষজনও জানে না। যেটা আমি বললাম করার চেষ্টা করেছি। আমার জায়গা থেকে যতটুকু করা দরকার চেষ্টা করেছি। যে সুযোগটা আমাকে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, আরেকটু বড় পরিসরে করা, সেটাই।
এলাকার উন্নয়ন না আইন প্রণয়ন?
আসলে আইন প্রনয়ণ করা তো জানি। আমি তো দেখেছি এই পর্যায় থেকেও অনেক হেল্প আসে। সরকার থেকেও অনেক সহযোগিতা আসে। যেগুলা এখান থেকে যাওয়ার পর ঠিকভাবে বন্টনের ব্যাপার আছে। আমি চেষ্টা করব এই ব্যাপারটা ঠিকমতো করার।
দল না জিতলে আপনার ভবিষ্যত?
হতে পারে, কালকে আপনার জীবনে কী ঘটবে আপ্নি জানি না। আমার জীবনে কী ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি ক্লিয়ার মাইন্ড নিয়ে যাচ্ছি কিনা। আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সাথে কী হবে সেটা জানি না। তাই এতকিছু ভাবার সুযোগ এখনো নাই
টেস্ট থেকে অবসর?
দেখা যাক, আমি তো দশটা কাজ তো একসাথে করব না। আর টেস্ট মনে হয় এমনিই বলে দেব। আর টেস্ট তো আট বছর ধরে খেলছি না।
পরিবার থেকে বাধা, সমর্থন
খুব স্বাভাবিক, ধরেন পারিবারিকভাবে জানার পর এটা একটা নতুন জিনিস তাদের জন্য। তাদের জন্যও মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে, আমারও লাগবে। এটাই স্বাভাবিক। হয়তো বা ওইভাবে রাজনীতি আমার বাসায় কেউ করেনি। এটাই সত্যি। তো কিছুটা সময় তো তাদেরও লাগবে মানিয়ে নিতে।
পরিবারকে কীভাবে মানালেন?
মানামানি (হাসি)। সবাইকে যেটা বললাম অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
তরুণদের প্রতি বার্তা
আমি মাত্র বললাম আমার নিজেকে আমি নিয়ন্ত্রণ করি। নিজেকে ঠিক জায়গায় নিতে পারি কি না, সেটা আমি দেখি। ২০০১ সালে যখন ডেব্যু হয় আমি তরুণদের আইকন ছিলাম না। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করে গেছি, তারপর এ অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছি। আর নির্বাচিত হলে আমার কাজটা ঠিকমতো করার চেষ্টা করব, তারপর দেখা যাক কী হয় ।
প্রতিপক্ষের চেয়ে আপনিই এগিয়ে কেন
আমি তো সেটা একবারও বলিনি, আমি আপনার চেয়ে বেটার। তাকে আমি সম্মান করি। তাকে অসম্মান করে আমি কীভাবে বলব উনার চেয়ে আমি বেটার। সেটা অবশ্যই আমি বলব না। এ অবস্থায় আমি নিশ্চয় যাব না। অবশ্যি আমি চাই আমি আমার মতো করে বলব।
আরেকজনকে ছোট করে আমি বড় হবে সেই সুযোগ নিশ্চয় নাই। দেখুন, আমি একজন স্পোর্টসম্যান। ওখানেও কিছুটা এই মানসিকতা কিছুটা থাকতে হবে। ওখানে গিয়ে আমি তাজে বলতে পারব না, ওর চেয়ে আমি ভালো। আমাকে আপনারা ভোট দেন, সেই সুযোগ আমার নাই।
ভোট কেন দেবে?
ভোট তো সবার একটা একটা করে। আমার ভোট একটা, আপনার ভোটও একটা। যিনি ভোট দেবে উনার কাছে যদি মনে হয় আমার গ্রহণযোগ্যতা আছে তাহলে আমাকে ভোট দেবে। আমার যতটুকু করণীয় আছে, সেটা আমি করব।
বাদ বাকি উনার ব্যাপার উনি আমাকে পার্সোনালি দিবে কি না দিবে না। সেটার নিয়ন্ত্রণ আমার কাছে নাই। আমি আমার মেসেজইটা যতটুকু দিতে পারি,ভোট তো দিবে পার্সোনালি সেই মানুষটা। সেই মেসেজ এখন দেওয়া নিষেধ
সবার আদর্শ মাশরাফি
আমি এখনো আদর্শ হইনি। আমি কাজ করার পর দেখব কী হয়। আপনারা দেখবেন। ভালো কাজ করল একটা ভালো প্রভাব পড়তে পারে।
নাঈমুর রহমান দুর্জয় ভাই চেয়ে টিপস
এখনো আসলে পুরোপুরি খেলায় আসিনি।
প্রথম নির্বাচনের প্র্যাকটিস
আমি কোনো প্র্যাকটিস করিনি। আমি এখনো পুরোপুরি খেলায় আছি। আমার একটা শক্তি আছে, যখন যে কাজটা করি সেটা মন দিয়ে করতে পারি। এটাই আমার শক্তি। আমি এখন খেলা নিয়ে ভাবছি। খেলা শেষ করে যখন যাব তখন পুরোপুরি মন দেব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে ভাবনা
ফরম্যাট যত ছোট হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তত ভালো একটা দল। অবশ্যই ভালো একটা কম্পিটিশন হবে আশা করছি। টেস্ট সিরিজ জেতার পর প্লেয়াররা ভালো অবস্থায় আছে, ওটা ইউজ করতে পারলে ভালো হবে।