কেমন হওয়া উচিত ঘরের মাঠের উইকেট?

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে গিয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের টেস্ট ব্যাটিং সময়ের সাথে আরও কঠিন থেকে কঠিনতর হতে চলছে। একের পর এক লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের রেকর্ডেও প্রভাব ফেলছে।
এবার ঘরের মাঠে খেলা চার টেস্টে দুই রকমের উইকেট দেখা গেছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে নিষ্প্রাণ উইকেটে খেলা হয়েছিল। বাংলাদেশ দল নিজেদের ভুলেই সিলেট টেস্ট জয় করতে পারেনি। ঢাকার মাঠে আবার ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই টেস্টে ব্যাটসম্যানরা বড় রান পেয়েছে, সময়ের সাথে সাথে উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছে বোলাররাও।

উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে এসে দেখা গেলো সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। প্রথম দিন থেকে স্পিন করা চট্রগ্রাম টেস্টের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল মৃত্যুকূপের মতন। বাংলাদেশ স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দিয়ে টেস্ট জিতে নেয়। চট্রগ্রামের পর ঢাকা টেস্টে আবার ভিন্ন উইকেটের দেখা মিলে।
ঢাকায় একই বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে অপেক্ষাকৃত ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা বড় রানের দেখা পায়। একই সাথে বোলাররাও পেয়েছে পর্যাপ্ত টার্ন। প্রশ্ন জাগে, ঘরের মাঠে স্পিন স্বর্গে খেলা উচিত নাকি এমন স্পোর্টিং উইকেটে...বাংলাদেশ দলের সহ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ভোট স্পোর্টিং উইকেটেই।
'এটা নির্ভর করে, কারণ আমরা সব সময় আমাদের স্পিনারদের সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করি। এই কারণে উইকেটে স্পিনারদের জন্য সাহায্য থাকা ভালো। ব্যাটসম্যানরা তখন কিছুটা হলেও আরও ইতিবাচক ব্যাটিং করতে পারবে। এই কারণে ব্যাটসম্যানদের জন্যও এটা ভালো।'
ঢাকা ও চট্রগ্রামের উইকেটের মধ্যে পার্থক্যটা পারফর্মেন্সে স্পষ্ট চোখে পড়েছে। সাদমান, সাকিব ও লিটনের ফিফটির পর রিয়াদের সেঞ্চুরি ও বাংলাদেশের পাঁচশ ছাড়ান স্কোর তাঁরই প্রমাণ। কিন্তু তবুও দিনের শেষ বেলায় দ্রুত উইন্ডিজদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয়ায় বাড়তি কৃতিত্ব বোলারদের দিচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ।
'দুইটা উইকেট আমার কাছে মনে হয়েছে দুইরকম। চট্টগ্রামের উইকেটে আরও বেশি সাহায্য ছিল, আমার কাছে মনে হয়। তারপরও বোলারাদের কৃতিত্ব যে তাঁরাও ভালো জায়গায় বোলিং করেছে। তা না হলে এই পাঁচটা উইকেট পাওয়া সম্ভব হতো না। কারন সব গুলোই মনে হয় বোল্ড আউট হয়েছে। এই উইকেটটা তুলনামূলক কিছুটা হলেও ভালো ছিল! এখন কিছুটা ফাটল দেখা যাচ্ছে। আশা করি সামনে আরও তৈরি হবে।'