বাবার প্রেরণায় সাদমানের যাত্রা

ছবি: সাদমান ইসলাম অনিক

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার হিসেবে দীর্ঘ দিন থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন শহিদুল ইসলাম। বিসিবির এই কর্মকর্তারই ছেলে সাদমান ইসলাম অনিক। উইন্ডিজদের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে যিনি খেলেছেন ৭৬ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস।
ক্রিকেট পাগল বাবার হাত ধরেই মূলত এই খেলায় আগমন ২৩ বছর বয়সী এই ওপেনারের। যদিও ক্রিকেটে আসার ইচ্ছা সেই ছোট থেকেই জেঁকে ধরেছিল তাঁকে। সবমিলিয়ে বাবা এবং ছেলের ইচ্ছা এক বিন্দুতে মিলে যাওয়ার কল্যাণে ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি,

'বাবার ভূমিকা অবশ্যই আছে। আব্বু সব সময় ক্রিকেটে সহযোগীতা করেছে। আমি সব সময় ক্যাম্পে যেতাম। অনূর্ধ্ব ১৫-১৭ ক্যাম্পে সব সময় আমাকে নিয়ে যেত। তখন আমি ছোট ছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো,' বলেছেন গত এনসিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেটার হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি পদক্ষেপেই বাবা শহিদুলের সমর্থন পেয়েছেন সাদমান। অ্যাকাডেমি হোক কিংবা স্কুল ক্রিকেটেই হোক, প্রতিটি জায়গাতেই সাদমানের পাশে ছিলেন তাঁর বাবা। কিভাবে ব্যাট ধরতে হয় এবং ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হয় সেসব পন্থাও শিখিয়েছেন তিনি। সাদমান তাই বলছিলেন,
'যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলেছে ....আমি অ্যাকাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। আমাকে অনেক সমর্থন করেছে খেলার জন্য। কিভাবে খেলতে হয়,,,কিভাবে ক্রিকেটারদের জীবন কিভাবে সেট করতে হয় ওগুলো আমাকে এখনও বলে। আমি নিজেকে সেভাবেই চেষ্টা করি গড়ে তোলার।'
গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ সাদমান। গত জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) আসরে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ৬ ম্যাচে ৬৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। যেখানে তাঁর ২টি শতক এবং ৩টি অর্ধশতক ছিল।
দারুণ এই ফর্মের পর জাতীয় দলের দুয়ারও খুলে গিয়েছে তাঁর। উইন্ডিজদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ১৬৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৭৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন সাদমান। এরপর অপেক্ষায় ছিলেন টেস্ট অভিষেকের। অবশেষে ঢাকা টেস্ট দিয়ে সেই লক্ষ্য পূরণ হলো তাঁর।