টানা তৃতীয় বার বিশুর শিকার মিঠুন

ছবি: মোহাম্মদ মিঠুন

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্কোর-
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসঃ ১৫১/৩
(সাদমান ৬৪*)
উইন্ডিজদের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ একটি জয়ের পর এবার সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগারদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ১৫১ রান।
বিশুর বলে টানা তৃতীয়বারের মতো ফিরলেন মিঠুনঃ

অভিষিক্ত সাদমান ইসলামের সাথে ভালোই খেলছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। জুটি গড়েছিলেন ৬৪ রানের। কিন্তু ৫৭তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই মিঠুনকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান ক্যারিবিয়ান স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু।
তাঁর গুগলি বলটিকে পুল করতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন তিনি। আর এরই সাথে টানা তিন ইনিংসে বিশুর বলে ফিরতে হলো মিঠুনকে। এর আগের টেস্টের দুই ইনিংসেও একই স্পিনারের বলে আউট হয়েছিলেন তিনি।
সাদমানের অভিষেক ফিফটিঃ তামিম ইকবাল, জাভেদ ওমর বেলিম এবং হান্নান সরকারের পর চতুর্থ বাংলাদেশী ওপেনার হিসেবে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন সাদমান ইসলাম। ১৪৭ বলে টেস্ট মেজাজে ব্যাট করে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তাঁর ফিফটির পাশাপাশি দলীয় ১০০ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা। মোহাম্মাদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে থিতু হয়ে ব্যাট করছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
মমিনুলের বিদায়ঃ লাঞ্চের ঠিক দুই বল আগে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে বিদায় নিয়েছেন মমিনুল হক। সাদমান ইসলামের সঙ্গে হাল ধরেই খেলছিলেন তিনি। একপ্রান্তে সাদমান থিতু হয়ে খেললেও নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলছিলেন মমিনুল। কিন্তু ঠিক লাঞ্চের আগের কিমার রোচের বলে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন মমিনুল। ২৯ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।
সৌম্যর বিদায়ঃ দলের শুরুটা ভালো হলেও ব্যক্তিগত ১৯ রানে রস্টন চেজকে অফ সাইডে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন সৌম্য। চট্টগ্রাম টেস্টেও সৌম্য একই ধরণের শট খেলতে গিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন স্লিপে ক্যাচ দিয়ে। তাঁর ভুলের কারণে সাজঘরে নেমেছেন মমিনুল হক। এরপরই লাঞ্চ বিরতিতে যায় টাইগাররা।
সৌম্য-সাদমানের ভালো সূচনাঃ টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ অভিষিক্ত সাদমান ইসলাম অনিক এবং সৌম্য সরকারের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে। শুরু থেকেই দুই ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
বাংলাদেশ একাদশঃ
সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, মমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান।
উইন্ডিজ একাদশঃ
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), কাইরন পাওয়েল, শাই হোপ, সুনীল আমব্রিস, রস্টন চেজ, শিমরন হেটমায়ার, শেন ডওরিচ (উইকেটরক্ষক), জোমেল ওয়ারিকেন, দেবেন্দ্র বিশু, কেমার রোচ, শিরমন লুইস।