নিজেদের ফাঁদে নিজেরাই পা দিচ্ছে বাংলাদেশ?

ছবি: ছবিঃ- গেটি ইমেজ

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
ঘরের মাঠে ভয়ঙ্কর স্পিনিং উইকেট বানিয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো একের পর একে পরাশক্তিকে বধ করেছে বাংলাদেশ। তবে মুদ্রার অপর পিঠে দেখতে হচ্ছে টাইগার ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং দৈন্যদশার চিত্রও।
কেননা ঘরের মাঠে স্পিনিং উইকেটে বিদেশী ব্যাটসম্যানদের মতো টাইগার ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থ হয়ে যায়। পরিসংখ্যানই বলছে এমনটা। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেখা যাক।
এই সময়টায় বাংলাদেশ ১৮ ইনিংসে স্পিনারদের বিপক্ষে করেছে ২৭.৯২ গড়ে ৩২৩৯ রান! একই সময়ে বিদেশী দলের ব্যাটসম্যানরা করেছে ১৭ ইনিংসে ২৪.৮৯ গড়ে ৩৬১০।

অর্থাৎ, বিদেশী ব্যাটসম্যানদের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ঘরের মাঠে খুব একটা এগিয়ে আছে, এমনটা বলার সুযোগ থাকছে না। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্তও দলের অবস্থা একই।
এই সময়টায় ১৪ ইনিংসে স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছে ৩৯.৩৩ গড়ে ২২৪২ রান। এই সময়ে বিদেশী ব্যাটসম্যানরা টাইগার স্পিনারদের বিপক্ষে করেছে ১২ ইনিংসে ৩৫ গড়ে ২৭৮০ রান।
এই পরিসংখ্যানও অনেকটা একই চিত্র প্রকাশ করে। টাইগার ব্যাটসম্যানরা যে ঘরের মাঠে স্পিন খেলতে পারছে না, এটাই প্রমাণ করে এমন পরিসংখ্যান।
বস্তুত এটাই দেশের টেস্ট ক্রিকেটের জন্য হুমকি। কেননা টাইগাররা যখন বিদেশের পেস বোলিং সহায়ক উইকেটে খেলতে যায়, তখন সেখানকার কন্ডিশনের কাছে লাঞ্ছিত হয় ব্যাটসম্যানরা।
আবার দেশের মাটিতেও একই ব্যাটসম্যানরাই খারাপ খেলে আসছে। অর্থাৎ, টেস্টে টাইগার ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ ক্রমেই সঙ্কীর্ণ হয়ে আসছে।
কেননা বিদেশেও টাইগাররা ভাল করতে পারছে না, আবার দেশেও স্পিনিং উইকেটের বেড়াজালে পড়তে হচ্ছে তাঁদের! অথচ চার বছর আগে এমনটা ছিল না। ঘরের মাঠে তখন তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেই খেলতে দেখা যেতো বাংলাদেশকে।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত দেখা যাক। এই সময়টায় বাংলাদেশ মোট ১২ ইনিংসে ব্যাট করেছে, স্পিনারদের বিপক্ষে টাইগারদের গড় ছিল ৪৮.৬০ রান। অবশ্য ওই সময়টায় বিদেশী ব্যাটসম্যানদের গড় ছিল ১০ ইনিংসে ৪৯.৫৮।