ভবিষ্যতের ভাবনাতেই অভিষেকের পসরা!

ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এক মাসেই হতে যাচ্ছে ছয় ক্রিকেটারের অভিষেক! জাতীয় দলের টেস্ট ফরম্যাটে স্বল্প সময়ে একাধিক ক্রিকেটারের অভিষেক খারাপ কিছু নয় বরং একে ভবিষ্যত পরিকল্পনার একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে ভাবছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান।
মূলত সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের ইনজুরিই সুযোগ করে দিয়েছে বেশ কয়েকজনকে। জায়গা পূরণ তো করতেই হবে, তাই ভবিষ্যতের চিন্তা করে তরুণদের পরীক্ষা করে নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন নির্বাচকরা। অভিষেক করিয়েছেন বেশ কয়েকজনের, যাকে ইতিবাচকই মনে করছেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
পাশাপাশি দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথাও ভাবতে হবে যারা দশ-বার বছর ধরে দলের সাথে আছেন, মাঝে মাঝে বিশ্রামের প্রয়োজন হয় তাঁদেরও। সাথে অপেক্ষায় থাকা তরুণদেরও মাঝে মাঝে সুযোগ দেয়ার দরকার মনে করেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্বাচকরা, মনে করছেন বোর্ড কর্মকর্তা।

'আসলে এই প্রশ্নটি নির্বাচকদের করলে ভালো হতো। তবে এরপরেও আমাদের যেহেতু কিছু ক্রিকেটার ইনজুরিতে ছিল এবং একই সাথে আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদেরকেও তো সুযোগ দিতে হবে। এখন টেস্টে আমরা কিছু ক্রিকেটারকে দেখছি।
'আমাদের সৌভাগ্য যে চার-পাঁচজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার দশ-বার বছর ধরে বাংলাদেশ দলে খেলছে। তবে ওদেরও তো সীমা আছে খেলার। আর সেই কারণে আমাদের নতুন ক্রিকেটারদেরকে দেখতে হবে। এটি আসলে একটি ইতিবাচক দিক,' সাংবাদিকদের বলেছিলেন আকরাম খান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে অভিষেক হয়েছিল মোহাম্মদ মিথুন, আরিফুল হক, নাজমুল ইসলাম অপু এবং সৈয়দ খালেদ আহমেদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অভিষেক করান হয়েছে স্পিনার নাঈম ইসলামকে। এবার অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন সাদমান ইসলাম অনিক।
আজ অথবা কাল এদেরকে পরীক্ষা করতেই হবে। কিন্তু সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সের অভাবেই এখন এমন প্রশ্নের উদয়, মনে করছেন আকরাম খান। তবে তাঁর বিশ্বাস, এরা ভালো করলেই সব সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব।
'কেউ হয়তো ভালো করছে, আবার কেউ করছে না। আমাদের তো এটা দেখতেই হবে। আশা করছি যারা সুযোগ পাচ্ছে তাঁরা যদি ভালো করে তাহলে আর সমস্যা হবে না।'