promotional_ad

মমিনুলের উইন্ডিজ ফাঁদ জয়

ছবিঃ বিসিবি
promotional_ad

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||


রাউন্ড দ্য উইকেট, আউট সুইং, ড্রাইভ এবং স্লিপ ও গালিতে ক্যাচ...চার মাস আগে কিমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, জেসন হোল্ডাররা এভাবেই বাংলাদেশি টপ অর্ডারে ধ্বস নামিয়েছিল। বাঁহাতি মমিনুল হক ছিলেন উইন্ডিজ দলের পরিকল্পনার ভুক্তভোগী। এ বছর ক্যারিবিয়ান দ্বীপে চার ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র ১৪ রান করেছেন তিনি, এবার সেই মনিনুল হক এক ইনিংসেই করলেন ১২০ রান, তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি। 


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে দেড়শ রানের ইনিংসের পর ফের প্রথম ইনিংসে মমিনুলের সেঞ্চুরি, বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্রগ্রামের মাঠে জোড়া সেঞ্চুরির পর এই নিয়ে একই মাঠে হ্যাট্রিক সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ভিরাট কোহলি সাথে যৌথ ভাবে চলতি বছরের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকও এখন মমিনুল।


নিজের রেকর্ডে অবশ্য বেশি পুলকিত নন মমিনুল। দিনের খেলা শেষে বলেছেন, 'আর তামিম ভাই এর সাথে কমপেয়ার করার প্রশ্নই আসে না। তিনি আমাদের দেশের, ক্রিকেট বিশ্বের অন্য লেভেলের ব্যাটসম্যান, আমার কাছে মনে হয় কমপেয়ার করা ঠিক না। আর ভিরাট কোহলি তো আরও উঁচুতে। এইসব নিয়ে আমি চিন্তা করি না।'
 
চার মাস পর ঘরের মাঠে উইন্ডিজ দলকে কিছু ফিরিয়ে দেয়ার ছিল বাংলাদেশের। অনুমেয় ছিল, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সাজানো বাংলাদেশের টপ অর্ডারের বিপক্ষে উইন্ডিজ ফাস্ট বোলাররা রাউন্ড দ্য উইকেট থেকেই গতির ঝড়ের সাথে সুইং মিশিয়ে দিতে চাইবে। পুরনো পরিকল্পনায় সাফল্য ইনিংসের শুরুতেই পেয়েছে কিমার রোচ। 


promotional_ad

ইনিংসের প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার কট বিহাইন্ড। একই জায়গায় ইমরুল কায়েসও আউট হতে পারতেন, কিন্তু স্লিপ ফিল্ডারের ভুলে রক্ষা। একই পরিকল্পনা সফল হয়েছে গ্যাব্রিয়েলও। চা পান বিরতির পর মমিনুলকে ১২০ রানে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে এসে কট বিহাইন্ডের পর আরেক বাঁহাতি সাকিবকেও সাজঘরের পথ দেখান গ্যাব্রিয়েল।


এর মাঝে গ্যাব্রিয়েলের গতির কাছে পরাস্ত হয়েছে মুশফিক ও রিয়াদও। এক স্পেলে চার উইকেট নেয়া এই গ্যাব্রিয়েলের বলেই প্রথম সেশনে রান আদায় করে নিয়েছিলেন মমিনুল। প্রথম সেশনেই ফিফটি তুলে নেয়া মমিনুল বল খেলেছেন ৭৫টি।


একই গতিতে রান তুলেছেন লাঞ্চের পরেও। দিনের দ্বিতীয় সেশনের ৫০তম ওভারে রস্টন চেইজের বলে কাট করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, এর আগের ওভারেই দেবেন্দ্র বিশুকে লং অনের উপর দিয়ে ছয় হাঁকিয়ে বার্তা পাঠান তিনি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে চা পান বিরতিতে যাওয়া মমিনুল হকের সামনে সুযোগ ছিল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এক হাজার রানের মাইল ফলক স্পর্শ করার, কিন্তু ১২০ রানে আউট হয়ে ১১ রান দূরে থাকা অবস্থায়ই সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।


উইন্ডিজ ফাস্ট বোলারদের পাতা ফাঁদে পা দেয়া মমিনুলের আক্ষেপ, ইনিংসটা আরেকটু বড় হতে পারতো। 'সবসময় আক্ষেপ থাকবে। আগের টেস্টেও যেমন ১৬০ করে আউট হয়েছি, তখনও ছিল। 


'যখনই আক্ষেপ থাকবে না, তখন আপনি ওই একই জায়গায় থেকে যাবেন। আপনার যদি ক্ষুধা না থাকে পারফর্ম করার তাহলে আপনি একই জায়গায় থেকে যাবেন। আক্ষেপ সবসময় থাকে। যখন শুন্য করে আউট হই, একশ করি তখনও আক্ষেপ থাকে।'



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball