promotional_ad

অবহেলিত পেসাররা, প্রাধান্য পাচ্ছেন স্পিনাররা

বাংলাদেশ দলের পেসাররা
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||  


জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ৪ জন পেসারকে স্কোয়াডে নিয়েছিলেন নির্বাচকরা। টাইগারদের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে কাঁধের চোটের কারণে তার খেলা হচ্ছে না।


অন্যদিকে, উইন্ডিজ সফরে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আবু জায়েদ রাহী আছেন একাদশের বিবেচনায়। তাছাড়া, একাদশে আছেন, অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা খালেদ আহমেদ ও অভিজ্ঞ শফিউল ইসলাম।


কিন্তু ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, শনিবার বাংলাদেশের একাদশে এক পেসার দেখা যেতে পারে। ফলে বাকি তিন পেসারই থাকবেন সাইড লাইনে।


এবং জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ মিস করবেন। তাদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতে অপেক্ষায় থাকতে হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঘরের মাঠে স্লো এবং লো উইকেটে খেলে হয়তো জয়ের পরিসংখ্যান বাড়ানো যাবে তবে ক্রিকেটের সংস্কৃতিটা বদলানো যাবে না।


বাংলাদেশ বরাবরই ৭ ব্যাটসম্যান ২/৩ জন স্পিনার ও ১/২ জন পেসার নিয়ে দল সাজিয়ে থাকে টেস্ট ক্রিকেটে। এই লাইন আপ নিয়েই বাংলাদেশ দল গত চার বছর সফল হয়েছে। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে।


promotional_ad

লঙ্কানদের বিপক্ষে শততম টেস্টে জয় তুলে নিয়েছে। যাইহোক, এই লাইন আপ বাংলাদেশ দলের পেসারদের জন্য অশনি সংকেত। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তারা নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর জন্য যথেষ্ঠ সুযোগ পান না।


বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেছেন, ঘরের মাঠে সফল বাংলাদেশ দলকে তিনি দেশের বাইরেও সফল করতে চান। দলের ব্যাটসম্যানদের পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে দুর্বলতা ও পেস বোলারদের লম্বা স্পেলে বোলিংয়ের সামর্থ্যের অভাব দূর করতে চান তিনি।


দলের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ মনে করেন, দেশের বাইরেও বাংলাদেশ দলের পেসারদের আরও ভালো করার সামর্থ্য আছে। এবং যথেষ্ঠ সুযোগ দেয়া উচিত। ক্রিকইনফোকে ওয়ালশ বলেছেন,


"এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। কিন্তু এটাও আপনার দেখতে হবে যে এই বছর আমরা অনেক বেশি টেস্ট খেলিনি। তবে আমার সন্দেহ হয় কোন বোলার সবকয়টি টেস্ট খেলেছে। ফিজ ছাড়া কেউই নিয়মিত নয়। কন্ডিশনে কিছু ভিন্নতা আছে। দুটো টেস্ট ম্যাচ কন্ডিশনে মানিয়ে নিতেই লেগে যায়। আমি আগে যা বলেছি তাই বলব আবারও, ওদের খেলতে দিতে হবে।"


টেস্ট ক্রিকেটে রবিউল ইসলাম বাংলাদেশ দলের সবশেষ ম্যাচ জেতানো পেসার। তিনি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। তবে, ফিটনেসের অভাবে তিনি এখন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন।


অনেকেই আবার ক্রিকেটারদের হারিয়ে যাওয়ার পেছনে নির্বাচকদের দায়ী করেন। তারা মনে করেন নির্বাচকরা একজন খেলোয়াড়ের উপর খুব বেশিদিন ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারেন না। তাই রবিউলের মতো অনেক পেসারই হারিয়ে গেছেন।


২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ দলের সোনালী সময় যাচ্ছে। তবে, এই দীর্ঘ সময়ে সবচেয়ে বাজে পেস বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশ দলের। বাংলাদেশ দলের পেসারদের সমষ্টিগত গড় ৫৩.৮। আর স্ট্রাইক রেট ৯০.৭১।


একই সময়ে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের পেসারদের বোলিং গড় ৩০ এর মধ্যে। এদেরকেও ছাড়িয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পেসাররা। 


বাংলাদেশ ২০১৮ সালে খেলা ৪ টেস্টের মধ্যে দুটি টেস্ট খেলেছে ঘরের মাঠে। এখানেও পেসাররা নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেননি। ৩৩.৭ গড়ে রান দিয়েছেন তারা। বিপরীতে অন্য দলগুলো ২৪.৮৪ গড়ে রান দিয়েছে।


বাংলাদেশ দল জানে যে পেস বোলিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দারুণ পেস বোলিং আক্রমণেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তবে টেস্ট অধিক পেসার খেলাতে কেন এত অনীহা? সময়ের প্রয়োজনে এই ধারা থেকে কি বেরিয়ে আসা যায় না? 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball