১৮ বছরে মাত্র ৩ বার!

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
টেস্টে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩ বার তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সর্বোশেষ ২০১৪-১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে লড়েছিল টাইগাররা। যেখানে সফরকারীদের ধবলধোলাই করেছিল স্বাগতিকরা।
টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ৫৫টি সিরিজের মধ্যে মাত্র ৩বার তিন ম্যাচর সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে প্রথম পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল খালেদ মাহমুদ সুজন-হাবিবুল বাশাররা।
এরপর আবার তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশের লেগেছিল ৪ বছর। সেবার শ্রীলংকার মাটিতে লড়েছিল টাইগাররা, ফলাফল হোয়াইট ওয়াশ বাংলাদেশ। তাঁর পরবর্তীতে প্রায় ৮ বছর পর তিন ম্যাচর সিরিজ পেয়েছিল সাকিব-তামিমরা। যেখানে প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশ করে টাইগাররা।
এদিকে টাইগাররা কেন এখনও তিন ম্যাচের পূর্ণ টেস্ট সিরিজ পায় না এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল চলতি সিরিজে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে থাকা সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানকে। উত্তরে তিনি জানান,

'আমরা চেষ্টা করি। সময়, আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা বা আমরা কোনটা খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি, তা মাথায় রাখতে হয়। এ সব চিন্তা করেই কিন্তু বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিই।'
সেই সিরিজের পর এখন পর্যন্ত কোন তিন ম্যাচের সিরিজ পায় নি বাংলাদেশ দল। কিন্তু বাংলাদেশের চেয়ে বিশ্বের বাকি দলগুলোর চিত্র খানিকটা ভিন্ন। কারণ কোন দলই সাধারণত তিন ম্যাচের নীচে সিরিজ খেলে থাকে না।
অ্যাশেজ হয় পাঁচ ম্যাচের সিরিজে, সম্প্রতি ইংল্যান্ডের মাটিতে ভারত খেলেছে পাঁচ টেস্ট, দক্ষিণ-আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে লড়াই চলে চার টেস্টের কিংবা শ্রীলংকার মাটিতেও ইংল্যান্ড লড়বে তিন ম্যাচের সিরিজ।
সাধারণত দুই ম্যাচর সিরিজ দিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে বেশী লড়াইয়ের সুযোগ থাকেনা। আর ফলাফলকেও তেমন কঠিন ভাবে দেখা হয় না। কারণ সফরকারী দল যদি সিরিজে একবার পিছিয়ে পড়ে তাহলে তাঁদের জন্য নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলাটা কঠিন হয়ে পড়ে।
যেকারণে সব দলই সফরসূচি ঠিক করার সময় চায় যেকোন সিরিজ বেজোড় সংখ্যায় হয়ে থাকে। কারণ জোড় সিরিজের ফলাফল কোন দলের পক্ষে নাও যেতে পারে। তাই বেজোড় সিরিজের থেকেই বেশী ফলাফল বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু বাংলাদেশ দলকে বরাবরই জোড় সংখ্যার সিরিজে খেলতে হয়। তাই একবার পিছিয়ে পড়লে পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগটাও কম থাকে তাঁদের। অথবা ১-১ ব্যবধানে সিরিজ শেষ হওয়ার সম্ভবনাও থেকে যায়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ। সিরিজটি দুই ম্যাচের হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জন্য যেমন সুবিধা রয়েছে তেমন রয়েছে অসুবিধাও। তবে সবকিছুর বিচারের ব্যাকফুটে থাকতে হবে জিম্বাবুয়েকেই।
কারণ যদি প্রথম দুই টেস্টে সফরকারীরা নিজেদের মেলে ধরতে না পারেন হয়তো শেষ টেস্টে এসে লড়াইয়ের একটা সুযোগ পেতেন তাঁরা। তাই দুই ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কারণে সামর্থ্যের সব টুকু দিতে হবে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দলকে।