সৌম্যের পারফর্মেন্স খরায় দায়ী ফেসবুকও!

ছবি: ছবিঃ- বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৫ সালে ক্যারিয়ারের দারুণ এক সময় কাটানোর পরে একটু বেশিই নিষ্প্রভ হয়ে যায় সৌম্য সরকারের ব্যাট। অফফর্মে থাকা সৌম্য ভক্তদের কটূক্তি থেকে দূরে থাকতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন।
'আমার কাছে মনে হয় আমি বাইরের কথা বেশি শুনতাম। ফেসবুকটা যখন ব্যবহার করতাম, তখন নেতিবাচক মন্তব্য গুলো আসতো অনেক, যা মাথায় গেঁথে যেত। মানুষ ইতিবাচক জিনিসটা লিখেও না, নিজেও পারে না।
'এমন এক একটা হেডলাইন আসত, যেন আমি সবই খারাপ করেছি। আর আমরা বাংলাদেশিরা হেডলাইনটাই বেশি পড়ি। পরে ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করব ভেবেছি, নেতিবাচক জিনিস গুলো কম নিব, মানুষের সাথে কথা কম বলব।'

২০১৬-১৭ সালে বলার মতো পারফর্মেন্স ছিল না সৌম্যের ব্যাটে। আর তখন ফেসবুকে অনেক বেশি কটূক্তির শিকার হয়েছিলেন সৌম্য। আর এসবের প্রতিফলন আরও বেশি করে পড়ে তাঁর পারফর্মেন্সে।
রান করাই যেন ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের শুরু থেকেই যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ম্যাচে যেন সফলতার চূড়ান্ত সমীকরণেই পৌঁছালেন সৌম্য। খারাপ সময়ে নিজের মনোবল ফিরে পেয়েছেন কিভাবে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে জানান, 'শুধু ইতিবাচক জিনিস নিয়েই বেশি ভাবার চেষ্টা করেছি। অনুশীলনও কম করতাম তখন, যখন খারাপ যায় তখন সবই খারাপ যায়, ভাল করলেও খারাপ হয়। একটু বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতাম সেই সময়ে।'
তবে অল্প বয়সেই ক্যারিয়ারের দুই পিঠ দেখে ফেলা সৌম্য ভক্তদের প্রতি এখনও যেন কিছুটা হতাশাগ্রস্ত। ভাল পারফর্মেন্স বা খারাপ, কোনটাকেই বিশেষ আমলে নিতে চান না; বরঞ্চ নিজের মনোবল ঠিক রাখার দিকেই নজর তাঁর।
'ভাল খেললে সব ধরনের কথা আসে। চেষ্টা করছি শুধু খেলে যাওয়ার। কবে ভাল করেছি এইসব অন্যরা মনে রাখার কথা। আমার কাজ খেলে যাওয়া, যখনই সুযোগ পাই। এর আগে একটা খারাপ সময় গিয়েছে।
'এখন ভাল খেলার পর আপনারা ডাকছেন, এসেছি, কথা বলছি। এখন যেটা হয়েছে সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। উত্থান পতন তো থাকবেই। নিজের সাথে নিজের বোঝাপড়াটা দরকার, নিজে খুশি থাকা দরকার।'