বিশ্বকাপ ভাবনায় বড় পরিবর্তন চাননা মাশরাফি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইতিমধ্যে টানা দুই জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচে কি তাহলে দল নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে টিম ম্যানেজমেন্ট? আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন সেই সুযোগ খুব একটা নেই দলে।
বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম দুই ওয়ানডেতে সুযোগ পাওয়াদের মধ্যে টপ অর্ডারে নবাগত এক ফজলে রাব্বি ছাড়া সবাই মোটামুটি রান পেয়েছে। সাত নম্বরে বহুদিনের আকাঙ্ক্ষা একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের দাবিটাও এই সিরিজে মেটানোর আভাস বেশ ভালো ভাবেই দিলেন সাইফুদ্দিন।
পেস ডিপাটমেন্টে আছেন অভিজ্ঞ মাশরাফি ও পরীক্ষিত মুস্তাফিজুর রহমান। তাই মাশরাফি শুধু এই সিরিজই নয়, সামনের বছর বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলে খুব বড় পরিবর্তনের পক্ষে নন। তাঁর ভাষ্যমতে,

'আসলে সব জায়গায় দেখার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি আসল চিত্রটি দেখেন যে রাব্বি এসেছিল কারণ সাকিব নেই, একজন লেফট আর্ম স্পিনারের প্রয়োজন সেভাবে চিন্তা করা হয়েছে। তবে সাইফুদ্দিনেরটি একেবারে নিশ্চিত ছিল যে একটি অলরাউন্ডার খোঁজা। আর একমাত্র সেই আছে সাম্প্রতিক সময়ে।
এইচপি বা ঢাকা লীগ যেখানেই বলেন সে ভাল করছিল। সুতরাং সেটি ছিল আমার মতে আবশ্যক। এছাড়া আপনি যদি দেখেন যে আসলে এত পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমি মনে করি যে ছয় পর্যন্ত সবাই আমাদের বিশ্বকাপ পর্যন্ত সুস্থ থাকে তাহলে তেমন পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ কিন্তু কম।
আর সাকিব এবং তামিম যখন ফিরে আসবে তখন সুযোগটি কম থাকবে। হয়তো সাত নম্বরে পরিবর্তন আনা যাবে, অথবা একজন অতিরিক্ত বোলার। সাইফুদ্দিন ভাল করছে। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় সবমিলিয়ে সাইফুদ্দিনের কামব্যাকটি ভাল হয়েছে। আর ওকে নিয়ে সবাই আশাবাদী। আর আমার মতে তেমন বেশি কোন জায়গা নেই পরিবর্তন করার মত।'
তবে তৃতীয় ওয়ানডের আগে জাতীয় লীগে খেলা সৌম্য সরকারকে তড়িঘড়ি করে দলে ডাকা হয় দলে। তাহলে কি কাল শেষ ওয়ানডেতে খেলছেন তিনি? খেললেও কার পজিশনে খেলবেন? মাশরাফি এখনই দলের পরিবর্তন নিয়ে কিছু খোলাসা করেননি। বরং তাঁর কথায় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বিশ্বকাপই। তাই বিশ্বকাপ নিয়েই এখন থেকে ছক কষতে শুরু করেছেন তিনি।
আর সেখানে সম্প্রতি জাতীয় দলে খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের উপরই আস্থা রাখছেন মাশরাফি। কারণ বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকী আর মাত্র আট মাস। এই সময়ের মধ্যে নতুন কাউকে দলে যুক্ত করতে পক্ষে নন তিনি। তরুণ ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে এসে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি মাথায় রেখেই অধিনায়ক এগোতে চান পরীক্ষিত ক্রিকেটারদের উপর ভর করেই।
'সৌম্য হয়ত কালকে দলের সাথে যোগ দিয়েছে। তবে তাঁর ক্ষেত্রে কি হবে সেটি এখনও জানি না। তবে এখন দুই একটি খেলোয়াড়কে দেখা যেতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু বিশ্বকাপের আগে তেমন বেশি ম্যাচ নেই, তাই যাদেরকেই চিন্তা করা হয় তাঁরা যদি ফর্মে নাও থাকে এরপরেও তাঁদেরকে খেলিয়ে, আরও ভালভাবে প্রস্তুত করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ বিকল্প কখনও আট মাসে তৈরি হয় না। সুতরাং যাদের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ বেশি তাঁদেরকে খেলিয়ে তাঁদের পারফর্মেন্স দেখে দলে নিশ্চিত করা এবং ঠিক করা যে তাঁরা খেলবে বিশ্বকাপে এই ধরণের মানসিক সাপোর্ট তাঁদেরকে দেয়া যেতে পারে।'