অধিনায়কের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন ফজলে রাব্বি

ছবি: ফজলে রাব্বি, বিসিবি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচেই শুন্য রানে বিদায় নিতে হয়েছিল সাকিবের পরিবর্তে দলে আসা ফজলে রাব্বিকে। তবে এরপরেও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার আস্থা হারাচ্ছেন না তিনি।
মাত্র একটি ম্যাচ দিয়েই তাঁকে বিবেচনার পক্ষে নন অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচে রাব্বি থাকবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেছেন,
'ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই মনে করি আরেকটি সুযোগ পাওয়া উচিত। একটা ম্যাচ দিয়ে বিচার করা কঠিন। যদি আপনি বলেন তাকে নেওয়া হলো কেন? তাহলে বলতে পারেন এটা একটা ভুল। কিন্তু নেওয়ার পর অবশ্যই আমি মনে করি তাকে সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ একটা ম্যাচ দিয়ে তাকে বিচার করা উচিত নয়।'

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কার্যকরী বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনে পারদর্শীতার কথা মাথায় রেখেই সাকিবের বিকল্প হিসেবে ৩০ বছর বয়সী রাব্বিকে দলে নিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে তাঁকে খেলানো যে অধিনায়কের একক সিদ্ধান্ত নয় সেটাও মনে করিয়ে দিলেন মাশরাফি।
পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে রাব্বি যে বলে আউট হয়েছে তা নিয়েও কোন রকম অভিযোগ থাকছে না তাঁর বলে জানিয়েছেন। অধিনায়ক বলেছেন, 'আবার সবার ভিউটাও গুরুত্বপূর্ণ। একা দায়িত্ব নিয়ে তো আর খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।'
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন নম্বরে খেলতে নেমে টেন্ডাই চাতারার দারুন বাউন্সারে কট বিহাইন্ড হন ফজলে রাব্বি। মাত্র দুই বল খেলে চাতারার ব্যাক অব অ্যা লেন্থ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ব্র্যান্ডন টেইলরের হাতে শুন্য রানে ধরা পড়েন তিনি।
তবে মাশরাফির মতে এই বলটিতে তেমন কিছুই করার ছিল না রাব্বির। তাঁর ভাষায়, 'পার্টিকুলার যে বলে সে আউট হয়েছে সেটাতেও দোষ দেওয়ার কিছু নেই। আর ক্রিকেট খেলা দোষাদুষির জিনিস না।'
রাব্বির সমর্থনে মাশরাফি আরও যোগ করেন, 'ব্যাকআপ আমরা নিকট অতীতে সব খেলোয়াড়কে করেছি। যতটুকু সম্ভব হয় করেছি। আমাদের বিলাসিতা করার সুযোগও নেই। ওটাও মাথায় রাখতে হবে। যেহেতু ব্যাকআপ করেছি। এখনও করছি। তাকে পূর্ণ সমর্থন দিতেই হবে। যতদূর সম্ভব তাকে সহযোগীতা করব।'
উল্লেখ্য, রবিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দেশের ১২৯তম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অভিষিক্ত হন রাব্বি। বয়সের দিক দিয়ে একটা রেকর্ডই করেছেন তিনি।
৩০ পেরিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে অভিষেক এর আগে হয়েছে পাঁচ জনের। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাব্বির অভিষেক হয়েছে ৩০ বছর ২৯৫ দিনে। যা গত তিন দশকে বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অভিষিক্ত সবচেয়ে বয়সী ক্রিকেটার তিনি।