তবুও এশিয়া কাপের ইনিংসটাকেই এগিয়ে রাখছেন ইমরুল

ছবি: মাশরাফি ও ইমরুল কায়েস

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন??ডেন্ট ||
ইমরুলের খেলা ১৩ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসটা ঠিক পরিসংখ্যান দিয়ে মাপা যাবে না। তার ১৪৪ রানের ইনিংসটাই বাংলাদেশ দলের জয়ের ভিত তৈরি করে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে।
ইমরুল কদিন আগেই, এশিয়া কাপের মাঝপথে উড়ে গিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অপরিচিত মিডেল অর্ডারে নেমে। দুটি ইনিংসের মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ইনিংসটাকেই এগিয়ে রাখছেন ইমরুল।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, "এটা আমার ক্যারিয়ারের ভালো একটা ইনিংস হিসেবে রাখব। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ইনিংস অনেক দরকার ছিল। আটলিমেটলি নিজে ভালো খেললে দলের কাজ হয়ে যায়। আজকের ইনিংসটির জন্য বাংলাদেশ দল সেভ হয়ে গেছে। এটার জন্য আলহামদুলিল্লাহ।"
মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় ইমরুলের দৃশ্যপটে ছিল আরব আমিরাতে খেলা আফগানিস্তানের বিপক্ষের সেই ইনিংস। সেই ইনিংসটাই ইমরুলের চিন্তা ধারা বদলে দিয়েছে। দিয়েছে অফুরন্ত আত্মবিশ্বাস।
"আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি কি করতে পারি, কি পারি না, অনেক কিছু জেনেছি ওই ইনিংস থেকে। আজকে ব্যাটিংয়ের সময় ওই ইনিংসটার কথা বারবার মনে করছিলাম। ওরকম একটা কঠিন পরিস্থিতিতে, চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে নিজেদের কন্ডিশনে আরও ভালো কিছু করতে পারব।"
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংসের শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন ইমরুল। তবে সেটা সময়ের সাথে সাথে কেটে গেছে। চাপ সামলে গেছেন ইনিসের শেষ পর্যন্ত।
"আসলে আজকের ইনিংসটিতে শুরুতে একটু নার্ভাস লাগছিল। একটু চাপ নিলে ঘাম হয় প্রচুর। ঘামলে ক্র্যাম্প হওয়ার শঙ্কা থাকে। একটা সময় যখন ভালো বোধ করতে শুরু করলাম, তার পর আর ঘাম হয়নি বেশি। একটি গ্লাভস পরেই ইনিংস শেষ করেছি, বদলাতে হয়নি। চাপটা পরে আর অনুভব করিনি।"