ভিভ রিচার্ডসের দেখান পথেই হাঁটছেন ইমরুল
ছবি: ছবি- বিসিবি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশ দলের ওপেনার ইমরুল কায়েস। রবিবার শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওপেনিংয়ে নেমে ১৪৪ রান করে এক ওভার বাকি থাকতে আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩টি চার এবং ৬টি ছয়ের মার ছিল তাঁর এই অনবদ্য ইনিংসে।
এই ইনিংসের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১২ রানের রেকর্ডটি ভাঙ্গেন তিনি। পাশাপাশি এটি তাঁর ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক ছিল।
এ দিন প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে করতে নেমেই বাউন্ডারির হাঁকানোর নেশায় লিটন দাসের উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। লিটনের ৪ রানের পর একই ওভারে শূন্য রানে ফেরেন অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি। কিন্তু দলের এক প্রান্ত ধরে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ ইমরুল।

৪৫ রানের জুটি করে ফিরে গিয়েছেন আশা জাগানো মুশফিক। ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি মিরাজও। কিন্তু বহুদিন পর জাতীয় দলে ফেরা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে গড়লেন ১২৭ রানের জুটি।
দলের প্রয়োজনে এমন ইনিংস তিনি এশিয়া কাপেও খেলেছিলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সম্পূর্ণ নতুন ব্যাটিং পজিশনে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন অপরাজিত থেকে।
কিছুদিন আগে ইমরুল নিজেই বলেছিলেন, কিংবদন্তী ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের কথা মতো বয়স ৩০ এর পর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরাবেন তিনি। নতুন করে শুরু করবেন আবার এবং সেটাই করে দেখিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময় আমি ভিভ রিচার্ডসের সাথে কথা বলেছিলাম, আমার ব্যাটিং নিয়ে। আমি রান পাচ্ছিলাম না এবং ধৈর্যহারা হয়ে পড়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘৩০ বছর বয়সের পরেই রান করার সবচেয়ে ভাল সময় আসে।
‘এই সময় ব্যাটসম্যান তাঁর খেলাকে সম্পূর্ণ বুঝতে পারে। সে জানে দলের প্রয়োজনে কখন ব্যাটিং এর গতিপথ বদলাতে হবে। ৩০ এর পরের পাঁচ-ছয় বছর ব্যাটসম্যানদের জন্য নিজের আধিপত্য সৃষ্টি করার সময়। আমার ক্ষেত্রেও এমন কিছু হোক, এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।'
এই শতকের দুই বছর আগে এমন বড় ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল। ২০১৬ সালে ঘরের মাঠ মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ শতক হাঁকিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ইংলিশদের বিপক্ষে মিরপুরের সেই ম্যাচে ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
১১টি চার এবং দুটি ছয়ে দুই বছর আগের সেই শতকটি করেছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদেরই ঘরের মাঠে প্রথম শতক হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ১৩৮ বলে ১০১ রানের সেই ইনিংসে ১১টি চারের মার ছিল তাঁর।