মিরাজের নতুন খেল

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগেও মেহেদি হাসান মিরাজের ওয়ানডে বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তোলার মত সুযোগ ছিল। কিন্তু ক্রিস গেইল, এভিন লুইসদের সামনে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন তিনি।
মাশরাফি বিন মুর্তজা অথবা মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে নতুন বলে জুটি বেঁধে বল করায় দারুন সফল তিনি। আঁটসাঁট বোলিংয়ের সাথে নতুন নতুন বৈচিত্র্য যোগ করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন এই অলরাউন্ডার। বলের গতি বদল ও সিম পজিশনে পরিবর্তন ব্যাটসম্যানদের ধাঁধায় ফেলছে নিয়মিত।

ক্যারিয়ারের প্রথম বছরে ৭ ওয়ানডে ম্যাচে ৫.১০ ইকোনমি রেটে মিরাজের উইকেট সংখ্যা ছিল ৬টি, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তিন ম্যাচে তিন উইকেট নিলেও ইকোনমি ছিল ৪.০৬। যা এশিয়া কাপে উপমহাদেশের দলের বিপক্ষে খেলা ছয় ম্যাচে কমে এসেছে ৩.৫৬ রানে!
কঠিন পরিস্থিতিতে রান করে উইকেট নিয়েছেন চারটি। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মিরাজ বলেছে, ' বৈচিত্র্য বলতে, আমি আগে প্রায়সময় এক গতিতেই বল করতাম। সিমের পজিশন একটু অন্য রকম ছিল আগে। সিমের গতিপথ পরিবর্তন করেছি। আগে ৪৫ ডিগ্রিতে বল করতাম। এখন ৯০ ডিগ্রিতে করছি। একটু মিক্স করে বল করছি। এইগুলোই, গতিপথ পরিবর্তন করে কিছু বৈচিত্র্য এনেছি।'
শুধু বোলিং বৈচিত্র্য নয়, মানসিকতা এসেছে বড় পরিবর্তন। ব্যাটসম্যানদের বড় ব্যাট ও ছোট বাউন্ডারির এই যুগে স্পিনারদের ভুল করার জায়গায় যখন খুবই সীমিত, তখন সাহসী হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
মনের জোর যার বেশি সেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সফল স্পিনার হতে পারবে। বিষয় গুলো ভালোই জানা মেহেদি হাসান মিরাজের।
'আমার কাছে মনে হয় আমি পূর্বের চিন্তার তুলনায় এখন একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করছি। কিভাবে কি করতে হবে, এইসব নিয়ে মানসিকভাবে একটু শক্ত হয়েছি। আর বোলিংয়ে কিছু ভেরিয়েশন এনেছি, ওইগুলো হয়তো কাজে দিচ্ছে।'