৩০ বছরেও 'বুড়ো' নন রাব্বি

ছবি: ফজলে রাব্বি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট||
বাংলাদেশের ক্রিকেটে কোন খেলোয়াড়ের ৩০ বছর বয়স হলেই জাতীয় দলে তাঁর পারফর্ম করার সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। অথচ এই বয়সেই কিনা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মত ডাক পেলেন ফজলে রাব্বি!
সুতরাং এরপর প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এটি কি তবে দেশের ক্রিকেটের নতুন রীতি হতে যাচ্ছে কিনা। নির্বাচক হাবিবুল বাশারকেও সম্মুখীন হতে হয়েছে এই প্রশ্নের। তবে তিনি জানিয়েছেন মূলত ফিটনেস লেভেল ভাল থাকাটাই শাপেবর হয়েছে এই ক্রিকেটারের জন্য। এই ৩০ বছর বয়সেও ফিটনেস ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে উৎরাতে পারাটা যে বেশ কঠিন সেটি মানছেন নির্বাচকও। তিনি বলেছেন,

'এখন আমরা প্রচুর প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলছি, পারফর্ম করছে। ফিটনেসের মান অনেক বেড়েছে। আগে ৩০ বছরের পর একটা ছেলের ফিটনেস ধরে রাখাও কঠিন ছিল। সেটা থেকে এখন বেরিয়ে এসেছি। সিনিয়ররা একসময় চলে যাবে, তখন যেন তরুনরা সিনিয়রদের বদলী হিসেবে খেলতে পারে। সব কিছুই আমাদের মাথায় থাকে। রাব্বির কথা বললেন, অবশ্যই তাঁর ফিটনেসটা খুব ভাল। আর এখন সে খুবই ম্যাচিউর ক্রিকেট খেলছে।'
শুধু তাই নয়, পাশাপাশি স্কোয়াডে অভিজ্ঞ এবং নতুন ক্রিকেটারদের একটি উপযুক্ত মিশেল রাখাটাও ছিল নির্বাচকদের উদ্দেশ্য। আর সেই কারণেই এরূপ দল নির্বাচন করা হয়েছে উল্লেখ করে বাশারের ভাষ্য,
'দলে অভিজ্ঞতা ও নতুনদের একটা মিশ্রণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমাদের দুইজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় (তামিম, সাকিব) নেই, তাই ওই মিশ্রণটা খুব দরকার ছিল। আর আমাদের দেশে এখন কিন্তু একটু একটু পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের যারা সিনিয়র আছে তাদের খেলার সুযোগটা কম থাকত,' বলেন বাশার।
সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক আরও যোগ করেন, 'দেখুন, অভিজ্ঞতা আসলে কেনা যায় না। সেটা অর্জন করতে হয়। একটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে দলে নেয়া কিন্তু সহজ। একজন তরুন ক্রিকেটারকে দলে নেয়া আবার বেশি ঝুঁকি নিতে হয়। দুটিই আমাদের চিন্তা করা উচিত, আমরা চিন্তা করিও। আমরা চাই না সব গুলো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাথে চলে যায়, পুরো দলটা আবার তারুণ্যময় হয়ে যাক। সবসময় মিশ্রণটা থাকা ভাল।'