বোঝার নাম উইকেট কিপিং, অবশেষে মুশফিকের স্বীকারোক্তি

ছবি: মুশফিকুর রহীম

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে মুশফিকুর রহিমকে টেস্টের উইকেট কিপিং এর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সাথে অধিনায়কত্ব ও দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের চাপ সামলে উইকেটের কিপিং এর দায়িত্ব সামলানো সহজ নয়, এই যুক্তিতে মুশফিকের মতের বিপরিতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
উইকেট কিপিং ছাড়ার আগে ক্যারিয়ারের ৫২ টেস্টের ৪৭টিতেই বাংলাদেশ দলের মূল উইকেটকিপারের দায়িত্বে ছিলেন মুশফিক। এরপর চাপিয়ে দেখা সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য মুশফিক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘ম্যানেজমেন্ট যখন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেটা তো মানতেই হবে।’

গত বছর ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে নাখোশ থাকলেও সময়ের সাথে সাথে ভাবনায় বদল এসেছে মুশফিকুর রহিমের। শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির উইকেট কিপিংয়েও সমস্যা হচ্ছে দেশের এই অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের। একই সাথে কিপিং ও ব্যাটিংয়ের চাপ শরীর নিতে পারছে না। 'হ্যাঁ, এটা তো ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে (ইনজুরির ভয়) থাকেই। শুধু পাঁজরে নয়, আমার দুই তিনটি আঙ্গুল তো এখনও ভাঙ্গা, সেগুলো নিয়েই খেলে যেতে হয়।
'কারণ সার্জারির পর্যায়ে চলে গেলে তো তিন চার মাঠের বাইরে থাকা, আবার সেখান থেকে কাম-ব্যাক করা কঠিন হয়ে যায়। ছোটোখাটো এমন নিগেলস থাকে, যা ম্যানেজ করে চলা যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে একটু কঠিন হয়ে যায়। অনেক সময় ৫০ ওভার কিপিং করে ব্যাটিং করতে হয়, যদি লম্বা ইনিংস খেলি তাহলে হয়তো বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।,' সোমবার পাঁজরের ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইে ব্যস্ত মুশফিক সাংবাদিকদের নিজের মতামত জানিয়েছেন।
মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপ চলাকালীন সময় পাঁজরের ইনজুরির শিকার হন। পুরো আসরে পাঁজরের ব্যথার সাথে লড়াই করেই খেলেছেন তিনি। রান করেছেন, উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষতার সাথে। জিম্বাবুয়ে সিরিজ সামনে রেখে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার লড়াই করছেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজর আগে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল, কিন্তু মুশফিকের মনের কোনে ভয় থেকেই যাচ্ছে।
'আমি মনে করি কোন ইনজুরি থেকে ফিরেই আপনি শতভাগ নিয়ে মাঠে নামতে পারবেন না। এটা শুধু পাঁজর নয়, যে কোন ইনজুরির ক্ষেত্রেই সত্যি। দেখা যায় আপনি ৯০-৯৫, বা ৮০-৮৫ ভাগ ফিটনেস নিয়ে খেলতে নামেন। আমার মূল চিন্তার জায়গা কিপিং, হয়তো ডাইভ দিতে গেলে কি হবে এটা নিয়ে চিন্তা কাজ করছে।
'সেটা নিয়েও আলাপ আলোচনা করে একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে কাজ করা হবে। ব্যাটিংয়ে আমার তেমন সমস্যা হয় না। এখন টিম ম্যানেজমেন্ট, ফিজিও যেভাবে চিন্তা করতে সেটা জেনে কনসাল্ট করেই কাজ করব। সবার আগে তো আমার শরীর, এখন পর্যন্ত ভালোই অনুভব করছি। এই উন্নতিটা যদি চলতে থাকে, তাহলে এখনও অনেক সময় আছে।