ইতিবাচক থাকাই স্টিভ রোডসের ব্রত

ছবি: স্টিভ রোডস ও মাশরাফি, ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
এশিয়া কাপের মিশন শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস। গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন তাঁর দল অল্পের জন্য শিরোপা না ছুঁতে পারলেও অনেকগুলো ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
খেলোয়াড়দের নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, 'এই টুর্নামেন্টে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। লিটন দাস যেভাবে খেলল শেষ ম্যাচে, সেটা দুর্দান্ত ছিল। মিথুন, সেও খুব ভাল খেলেছে। বোলাররা ধারাবাহিকভাবেই ভাল ছিল, কখনো স্পিনাররা, কখনো পেসাররা। কিছু কিছু ম্যাচে আমরা ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে একদম নিখুঁত ছিলাম।'

বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেবার পর এশিয়া কাপই স্টিভ রোডসের প্রথম বড় কোন অ্যাসাইনমেন্ট ছিল। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মত দল গুলোকে ছিটকে দিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত জায়গা করে নিয়েছে তাঁর শিষ্যরা।
আর এক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রেখেছিলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এবং ইমরুল কায়েস। আর ব্যাট হাতে তাঁদের পারফর্মেন্সে বেশ সন্তুষ্ট রোডস। বিশেষ করে মুশফিকের দারুণ দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের স্তুতি করে তিনি বলেছেন,
'আমরা ভাল কিছু জুটি পেয়েছি, মুশি ও মিথুনের মধ্যে। রিয়াদ ও ইমরুল বড় ম্যাচে ভাল করেছে। তবে সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল মুশি, সে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করেছে। সে অনেক রান করেছে এবং আমাদেরকে কঠিন অবস্থা থেকে টেনে তুলেছে। তাঁর এশিয়া কাপটা ভাল ছিল।'
দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলতে পারেননা তরুণ ক্রিকেটাররা বলে অনেক দিন থেকেই সমালোচিত হচ্ছে তাঁরা। তবে এশিয়া কাপে খুব একটা খারাপ করেননি তরুণরা। আর সেই কারণে কোচের পাশ মার্কই পাচ্ছেন মিথুন, মিরাজ, লিটনদের মত সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটাররা। রোডস বলেন,
'দেখুন মিথুন খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি। সে দুটি ৬০ রানের ভাল ইনিংস খেলেছে। মিরাজ অনেক দিন ধরে খেলছে, কিন্তু সে একজন তরুন ক্রিকেটার। সে দলে একজন অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছে। শেষ ম্যাচের আগে, কেউই তাঁর বলে রান নিতে পারে নি। সে খুবই আঁটসাঁট বোলিং করেছে। লিটন দাস, এটা তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস, যেটা ফাইনালের মত বড় মঞ্চের চাপ ছিল। সে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টুয়েন্টি সিরিজেও ভাল করেছিল। সে বড় ম্যাচ গুলোতে ভাল করা শুরু করেছে। সুতরাং এখানে অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে।'