আ??েকবার হয়ে যাক মাশরাফি ম্যাজিক

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ দল। আর শিরোপা ঘরে তোলার জন্য অধিনায়কত্বের পাশাপাশি বোলিংয়েও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। ভারতের টপ অর্ডারকে সাজঘরে ফেরানোর দায়িত্বটা নিতে হবে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই বোলারকেই।
কারণ চলমান এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে দুই ওপেনার শেখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা প্রতিপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। উদ্বোধনী জুটিতে এখন পর্যন্ত চার ইনিংসে তাদের রান ৪৫, ৮৬, ৬১ এবং ২১০। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে খেলেছেন দু'জন আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছিলেন বিশ্রামে।ব্যক্তিগত রান হিসেব করলে শেখর ধাওয়ান করেছেন ৩২৭ এবং রোহিত শর্মার ব্যাট থেকে এসেছে ২৬৯ রান।
বাংলাদেশকে যদি ভারতের বিপক্ষে এগিয়ে থাকতে হয় তাহলে শুরুতেই এই দুই ওপেনারকে বিদায় করতে হবে। আর অভিজ্ঞ এই দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরানোর দায়িত্বটা নিতে হবে কাপ্তান মাশরাফিকেই।

কারণ বাংলাদেশের হয়ে নতুন বলে সবচেয়ে সফল বোলার তিনি। যদিও চলতি এশিয়া কাপে আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন বলে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু ফাইনালে দায়িত্বটা তাঁকেই কাঁধে নিতে হবে। একপ্রান্ত থেকে মুস্তাফিজুর রহমান এবং আরেক প্রান্ত থেকে মাশরাফি বোলিং করলে চাপের মধ্যে উইকেট বিলিয়েও দিতে পারেন ভারতের ওপেনাররা।
আর ওপেনাররা সাজঘরে ফিরলে বাড়তি সুবিধা বাংলাদেশের জন্য। কারণ এই পর্যন্ত ভারতের মিডেল অর্ডারকে বড় ধরনের কোন পরীক্ষা দিতে হয়নি। শুধু মাত্র আফগানিস্তান এবং হংকংয়ের বিপক্ষে ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছে মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তাদের পারফর্মেন্স নজরে আসার মত নয়। এমনকি ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকেই দলটির সবচেয়ে বড় দুচিন্তার কারণ তাদের মিডেল অর্ডার।
এদিকে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ যেবার প্রথম ভারতকে ওয়ানডেতে হারিয়েছিল সেবারও মাশরাফিই নতুন বলে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেও শুরুতেই বীরেন্দ্র শেওয়াগের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই পেসার।
এরপর ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের জায়গা করে নেয়ার দিনও বল হাতে সফল ছিলেন মাশরাফি। সেই ম্যাচে চার উইকেট নেয়া মাশরাফি আবারও ওপেনিং স্পেলে দুই উইকেট নিয়ে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। আর এই দুটি ম্যাচই বাংলাদেশের স্মরণকালের অন্যতম সেরা জয়গুলোর মধ্যে রয়েছে।
আর শুক্রবারের ফাইনালে বাংলাদেশের জিততে হলে ভারতের বিপক্ষে একই ভূমিকা পালন করতে হবে মাশরাফিকে। ডানহাতি এই পেসার যদি বাংলাদেশকে এই উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেন তাহলে ভারতের মিডেল অর্ডারের উপর বাড়তি চাপ ফেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখতে পারবে বাংলাদেশ দল।