পাঁচ অধিনায়ককে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব!

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
গেল এক বছরে পাঁচ জন আন্তর্জাতিক অধিনায়ককে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল জুয়াড়িরা। সোমবার আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এমনই তথ্য দিয়েছেন।
কোন কোন দেশের অধিনায়ককে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে রাজি হন নি তিনি। কিন্তু পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের অধিনায়ক বলে তথ্য দিয়েছেন।
খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে মার্শাল আরও জানিয়েছেন, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন যেভাবে বাড়ছে তাতে জুয়াড়িরা আরও বেশি সুযোগ পাচ্ছেন ফিক্সিংয়ের।

'টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের প্রসার এবং জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যা জুয়াড়িদের আরও বেশি সুযোগ করে দিচ্ছে ফিক্সিং করার জন্য। গেল ১ বছরে পাঁচজন আন্তর্জাতিক অধিনায়ক ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন, তাদের নাম জানাতে ইচ্ছুক নই। কিন্তু তাদের চারজন আইসিসির পূর্ণ সদস্য প্রাপ্ত দেশগুলোর অধিনায়ক।'
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, গেল এক বছরে তাঁরা আটজন সন্দেহভাজন ক্রিকেটারকে সনাক্ত করেছেন। আর ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়া পাঁচ অধিনায়কই তাদেরকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেছেন।
'গত এক বছরে আমরা ৩০টির উপর ফিক্সিংয়ের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করেছি, যার মাধ্যমে আমরা আটজন সন্দেহভাজন ক্রিকেটারকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আর পাঁচ অধিনায়ক যাদের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তাঁরা আমাদের বিষয়টি আগেই জানিয়েছে।'
বর্তমানে ফিক্সিং বিষয়টি নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যে ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে ক্যারিয়ারের শেষ হয়ে গিয়েছে এমন ঘটনা অনেক রয়েছে।
যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়ে, পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান বাট, মোহাম্মাদ আসিফ, মোহাম্মাদ আমির, সাবেক অধিনায়ক সেলিম মালিক, ভারতের অধিনায়ক মোহাম্মাদ আজহার উদ্দিন, অজয় জাদেজারাও রয়েছেন।
এই জঘন্য কাজের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের মোহাম্মাদ আশরাফুলের নামও। পাকিস্তানের মোহাম্মাদ আমির ফিক্সিংয়ের সাজা কাটিয়ে বর্তমানে পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন। আর কয়েক দিন আগেই শেষ হয়েছে মোহাম্মাদ আশরাফুলের সাজা।