ঘরোয়া ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সচেতন বিসিবি

ছবি: ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্রিকেটাররা

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আগামী ১ অক্টোবর জাতীয় ক্রিকেট লীগ (এনসিএল) দিয়ে বাংলাদেশের নতুন ঘরোয়া মৌসুম শুরু হচ্ছে। এই ঘরোয়া মৌসুমে ক্রিকেটারদের ফিটনেসের দিকে জোড় দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এখন থেকে প্রতি বছর ঘরোয়া ক্রিকেটারদের তিনটি ফিটনেস পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এখানে পাশ মার্ক তুলতে পারলেই কেবল ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা।
এই ফিটনেস পরীক্ষায় ১২ এর মধ্যে অন্তত ৯ নম্বর পেতে হবে তাদের। ফিটনেস পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে বিসিবি চুক্তি থেকেও বাদ পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে।

এদিকে বিসিবির এক মুখপাত্র জানিয়েছে, "প্রতিটি বিভাগ তাদের ৩০ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে এবং বোর্ডের কাছে জমা দিয়েছে। তারা নিজ নিজ বিভাগে খেলোয়াড়দের নিয়ে এক সপ্তাহের ফিটিনেস ক্যাম্প করেছে। বিসিবির নিযুক্ত প্রশিক্ষকদের দ্বারা ৩০ সদস্যের দলগুলোর ফিটনেস টেস্ট করা হয়েছে। ৮-১৬ সেপ্টেম্বর আটটি বিভাগে ফিটনেস টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।"
ফিটনেস ক্যাম্পের আগেই একমসের দীর্ঘ ফিটনেস ক্যাম্প করেছে জাতীয় লীগের আট দল। পাশাপাশি বোর্ডের নিয়োগকৃত প্রশিক্ষক তুষার কান্তি রায়, ইফতেখারুল ইসলাম ইফতি ও মোর্শেদ হাসান সিজারের সহায়তায় আটটি বিভাগে ফিটনেস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফিটনেস টেস্টে অনেক নামিদামি ক্রিকেটারই ব্যর্থ হয়েছেন এদের মধ্যে আছেন সোহাগ গাজী (৮.৫), জিয়াউর রহমান (৮.৮), ধিমন ঘোষ (৭.৭), মোহাম্মদ শহীদ (৭.৮) ও রবিউল ইসলাম শিবলু (৬.২)।
তবে ফিটনেস টেস্টে অনেক ক্রিকেটারই দারুণ পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ফিটনেস পরীক্ষায় ১১.৪ পয়েন্ট অর্জন করেছেন। তাছাড়া পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব ১০.৪ ও তুষার ইমরান ১০.২ পয়েন্ট পেয়েছেন।