আমরা কেউই বীর পালোয়ান ছিলাম নাঃ সাকিব

ছবি: সাকিব আল হাসান

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
বাংলাদেশ দলের বড় ভরসার নাম পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও মাশরাফি। তারা একদিনে গড়ে উঠেননি। খেলতে খেলতে পূর্ণতা পেয়েছেন। তবে জুনিয়ররা সেই সময় পাচ্ছেন না বলে মনে করেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ওদের উপর এতোটা প্রেশার দিয়ে ফেলি অল্প সময়ে ওদের জন্য ভালো করার সম্ভাবনাটা আরও কমে যায়। আপনারা যাদের কথা বলছেন আমাদের চার-পাঁচজন আসলে আমরা কেউই কিন্তু আগে বীর পালোয়ান ছিলাম না।'
গত তিন চার বছর ধরেই দারুণ পারফর্ম করছেন বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা। একারণেই বাংলাদেশ দল নিয়মিত সাফল্য পাচ্ছে। এর আগে ৬-৭ বছর তাদের সুযোগ দেয়া হয়েছে। সেই সুযোগের প্রতিদান দিচ্ছেন সাকিব-মুশফিকরা।

এরই মধ্যে তামিম নিজেকে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ব্যাটে-বলে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন সাকিবও। দেশের পেস বোলিংয়ের বড় ভরসা এখনও মাশরাফি। মুশফিক উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলানোর পর ব্যাট হাতেও নিজেকে প্রতিনিয়ত উপরের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদুল্লাহও নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। জুনিয়র ক্রিকেটাররা কি সেই পরিমাণ সুযোগ পাচ্ছেন? সাকিব মনে করেন লিটন-সৌম্যদের জন্য সেই সময়টা তৈরি করতে পারছে না বাংলাদেশ দল। এই পরিস্থিতিতে তাদের পারফর্মেন্স করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
'শেষ তিন-চার বছর ক্যারিয়ার হয়তো দেখেছেন। কিন্তু এর আগে ছয়-সাত বছর আমরা চার-পাঁচজন খেলছি। আমরাই বা কতটুকু ভালো খেলেছি! একটা মূহুর্তের মধ্যে পড়তে পড়তে মানুষ যখন শিখবে তখনই ভালো করা সম্ভব আমরা হয়ত তাদের সেই সুযোগটা দিতে পারছি না ওইভাবে। ওই সময়টাও তৈরি করতে পারছি না। এই রকম পরিস্থিতিতে ওদেরও কঠিন ভালো পারফর্মেন্স করা।’
সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে জুনিয়র ক্রিকেটারদের দাপুটে পারফর্মেন্সে গত বিশ্বকাপের পর দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ধারা খুব বেশিদিন অব্যহত থাকেনি। সাকিব জানিয়েছেন এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের পথ খোঁজার সময় এখনই।
'হয়তো ওরা আরেকটু ভাল করতে পারে। তবে যখন ওরা আরেকটু ভাল করে আমাদের দল কিন্তু আরও বেশি ভাল করে। ভারত, শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমরা যখন সিরিজগুলো জিতেছি, তখন আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্স অনেক ভাল ছিল। একারণে আমাদের পারফর্মেন্সের লেভেল আরও অনেক বেশি ছিল। ওইটা যদি ধারাবাহিকভাবে আমরা ধরে রাখতাম, তাহলে আরও বেশি ভাল হতো। কিন্তু তা হয়নি, এখন আমাদের সেই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কিভাবে বের হওয়া যায় সেটা দেখতে হবে।'