বাংলাদেশের মৃত্যুকূপ শেষ দশ ওভার

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
৪১ ওভারের সময় সাকিব আল হাসান যখন মোহাম্মদ নবীর উইকেট নিলেন, তখন আফগানিস্তানের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১৬০। আর ওই ওভার শেষ হওয়ার পর আফগানদের মোট রানে যোগ হয়েছে আরেকটি রান।
অর্থাৎ যে আফগানিস্তান ৪১ ওভার শেষে ১৬১ রানে ছিল, সেই আফগানিস্তানই আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫০ ওভার শেষে পৌঁছেছে ২৫৫ রানে! অর্থাৎ, রশিদ খান-গুলবাদিন নাইবের সামনে খুবই অসহায় ছিল টাইগারদের ডেথ বোলিং।
মুস্তাফিজুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অভিষিক্ত আবু হায়দার রনি এবং রুবেল হোসেনকে আগেভাগে বল তুলে দেওয়ায় ডেথ বোলিংয়ে গুরুদায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা নিজেই।
কিন্তু দেশ সেরা এই পেসার দীর্ঘদিন পরে ডেথ বোলিংয়ে এসে সুবিধা করতে পারেননি। এই নয় ওভারে মাশরাফি করেছেন চার ওভার, দিয়েছেন ৪৫ রান! এর মধ্যে নিজের শেষ দুই ওভারেই দিয়েছেন ৩৬ রান!

চলমান এশিয়া কাপে আগেই সুপার ফোর এবং ম্যাচের সূচি নির্ধারিত হয়ে যাওয়া ম্যাচটি হয়তো বাংলাদেশের জন্য ছিল নিছক আনুষ্ঠানিকতার। এজন্যই হয়তো সব ধরণের বোলিংয়ে বিভিন্ন পরীক্ষায় মগ্ন ছিলেন মাশরাফি।
মাহমুদুল্লাহ, মমিনুল, মোসাদ্দেকসহ সব মিলিয়ে আটজন বোলারও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। কিন্তু টাইগারদের এই ব্যর্থ ডেথ বোলিং ইঙ্গিত দেয় কঠিন সময়ের। একইসাথে দলের ডেথ বোলিংয়ে মুস্তাফিজের গুরুত্বও কতখানি, আজকের ম্যাচ থেকে প্রতীয়মান হয়।
শুধু মাশরাফি নন, শেষ নয় ওভারে টাইগারদের সব বোলারদেরই ছিল নাজেহাল অবস্থা। সেই ওভার গুলোতে ৯৪ রান দিতে ভূমিকা পালন করেছিলেন আরেক অভিজ্ঞ বোলার রুবেল হোসেনও।
মাত্র এক ওভার করেই ১৭ রান দিয়েছেন তিনি! তরুণ আবু হায়দার রনিকে এখনই আতশি কাঁচের নিচে আনা সমীচীন নয়, যদিও ম্যাচ বিশ্লেষণে বলা যায়; পুরানো বল থেকে নতুন বলেই বেশি সফল ছিলেন রনি।
মূলত এশিয়া কাপকে ধরা হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হিসেবে। এখান থেকে ভুলগুলো বেঁছে নিয়ে যদি নিজেদের শুধরে নিতে পারে টাইগাররা, তবেই বিশ্বকাপে আলোর সম্ভাবনা খুঁজে পেতে পারে মাশরাফির দল।
আর দলের অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমস্যা হতে পারে ডেথ বোলিং! কাজেই এশিয়া কাপের এই গুরুত্বহীন ম্যাচটিকেই গুরুত্ব সহকারে নিক টাইগাররা, যেন ভবিষ্যতে ডেথ বোলিংয়ে অন্তত কিছুটা নির্ভার থাকা যায়।