'তিন বছর খেলার পরও তরুণ বলতে বাঁধা উচিৎ'

ছবি: মাশরাফি বিন মর্তুজা

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৫ সাল থেকে ওয়ানডে দলে খেলছেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে আরেক পেসার রুবেল হোসেন খেলছেন ২০০৯ সাল থেকেই। এশিয়া কাপের ঘোষিত স্কোয়াডে এই দুই ক্রিকেটার ছাড়া আরও কয়েকজন আছেন যাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার বয়স ২ থেকে ৩ বছর।
আর এই কারণেই এই ক্রিকেটারদের তরুণ এবং অনভিজ্ঞ বলতে নারাজ টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কারো নাম সেভাবে উল্লেখ না করলেও নড়াইল এক্সপ্রেস জানিয়েছেন তারুণ্য এবং অনভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে অন্তত খারাপ পারফর্মেন্স ঢাকা ঠিক হবে না। সাংবাদিকদের মাশরাফি বলেছেন,

'আমাদের যারা তরুণ প্লেয়ার, আসলে তাঁরা এখন আর তরুণ প্লেয়ার না... তিন,চার, পাঁচ বছর ধরে খেলছে অনেকে, তাদের আপনারা তরুণ প্লেয়ার বলছেন। তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পরও তাদের তরুণ প্লেয়ার বলতে একটু বাঁধা লাগা উচিত। আমার বিশ্বাস যে তারাও পারফর্ম করবে।'
এদিকে এশিয়া কাপে ভালো খেলার ব্যাপারে মাশরাফি আস্থা রাখছেন দলের চার সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের ওপরেও। কেননা এর আগে পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) খেলতে গিয়ে আরব আমিরাতের কন্ডিশন এবং উইকেট সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণাই পেয়েছেন তাঁরা। তাদের এই অভিজ্ঞতাই যে আসন্ন এশিয়া কাপে দলকে অনেকাংশে সাহায্য করবে উল্লেখ করে মাশরাফি বলেছেন,
'আমাদের মনে হয় আমাদের সামর্থ্য আছে, তাঁর সাথে রিয়াদ, সাকিব,মুশফিকও খেলেছিল সেখানে। তামিম খেলেছে অনেকদিন এবং সে পারফর্মও করেছে। তাদের ইনপুট থাকাটা জরুরী।'
তবে ভালো খেলার জন্য আউটফিল্ড এবং কন্ডিশনকেও একটি বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাবি করলেন টাইগার অধিনায়ক। এক্ষেত্রে ২০১৫ বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। সেবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কন্ডিশন এবং উইকেটের কারণেই নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। মাশরাফির ভাষ্যমতে,
'অস্ট্রেলিয়ায় যখন ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলি, তাঁর আগে কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে আমাদের স্মৃতি খুব ভালো ছিল না। সেটাই বললাম, যদি মাঠ বা আউটফিল্ড আমাদের পক্ষে না থাকে তাহলে পারফর্ম করতে পারব না, সেই বিশ্বাস নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।'