ওয়ানডে ফরম্যাটে চোখ মমিনুলের

ছবি: মমিনুল হক

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে কোনো ওয়ানডে খেলেননি মমিনুল হক। তবে টেস্ট স্পেশালিষ্টের তকমা পাওয়া মমিনুল যে সীমিত ওভারের ক্রিকেটটাও দারুণ খেলতে পারেন সেটি অবশ্য প্রমাণ করেছেন তিনি নিজেই।
কয়েকদিন আগে আয়রল্যান্ড সফরের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে ৭৪.২৫ গড়ে ২৯৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন মিনি। এই সফরেই দেশের বাইরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি।
১৩৩ বলে ১৮১ রানের ইনিংসটি খেলার পর অনেকেই মমিনুলকে ওয়ানডে দলে ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন। তবে মমিনুল সবই ছেড়ে দিয়েছেন নির্বাচকদের হাতে। আপাতত আয়ারল্যান্ড সফর থেকে অনেক কিছু শিখতে পারাটাকেই প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি। আর এই শিক্ষাই তাঁকে আগামীতে সামনে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে বলে বিশ্বাস করেন ২৬ বছর বয়সী মমিনুল। তিনি বলেন,

'আমি মনে করি আয়ারল্যান্ড সিরিজটি আমার জন্য অনেক শিক্ষণীয় ছিল এবং এটি আমাকে আসন্ন দিনগুলোতে সাহায্য করবে। আমাকে শিখতে হতো কিভাবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি কন্ডিশনে এবং এটি ছিল আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি অভিজ্ঞতা।'
নিজের পারফর্মেন্সে অবশ্য যথেষ্ট সন্তুষ্ট মমিনুল। বিশেষ করে আয়ারল্যান্ডে বেশ কিছু শট নিজের আয়ত্তে আনতে পারাটা তৃপ্ত করছে তাঁকে। আর এটিই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভালো খেলার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। মমিনুলের ভাষায়,
'এটি সন্তোষজনক ছিল এই অর্থে যে আমি বেশ অনেকগুলো শট খেলতে পেরেছি পুরো সিরিজেই। আমার এর আগে অনেক কম শট ছিল এবং এটিই হয়তো সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রভাব ফেলেছিল।'
আগামী এশিয়া কাপের আগে আঙ্গুলের সার্জারি করানোর সম্ভাবনা রয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তেমনটি হলে দলের তিন নম্বর জায়গাটিতে অনেকেই মমিনুলকে চিন্তা করছেন। শেষ পর্যন্ত ওয়ানডে দলে যদি সুযোগ পেয়েই যান তাহলে জায়গা পাকা করার জন্যই খেলবেন মমিনুল বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
'যদি আমাকে বাছাই করা হয় তাহলে তা অবশ্যই দারুণ হবে, তবে সবথেকে বেশি আমি যেটায় গুরুত্ব দিচ্ছি সেটি হল যদি সুযোগ আসে তবে দলে যেন জায়গা পাকা করতে পারি।'