যেদিন তামিম ঝড় দেখেছিল বিশ্ব ক্রিকেট

ছবি: তামিম ইকবাল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
আজ থেকে ঠিক ৯ বছর আগে জিম্বাবুয়ের বুলাওয়েতে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান চার্লস কভেন্ট্রি। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থটিতে মাত্র ১৫৬ বলে ১৬টি চার এবং ৭টি ছক্কার সাহায্যে ১৯৪ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলেন তিনি।
আর এরই সাথে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান সাইদ আনোয়ারের ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে ভাগ বসান কভেন্ট্রি। তার এই ঝড়ো ইনিংসে শুরুতে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩১২ রানের পাহাড়সম পুঁজি দাঁড়া করায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু সেই লক্ষ্যও টাইগাররা টপকে গিয়েছিল ১৩ বল এবং ৪ উইকেট হাতে রেখেই। মূলত এর সিংহভাগ কৃতিত্ব ছিল বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল খানের। বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৮ বলে ১৫৪ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যেখানে ছিল ৬টি ছয় এবং ৭টি চারের মার।

তামিমের এই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই ম্লান হয়ে গিয়েছিল চার্লস কভেন্ট্রির ১৯৪ রানের সেই লড়াকু ইনিংসটি। আর বাংলাদেশও ভেসেছিল জয়ের আনন্দে। এই জয়ের ফলে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি এক ম্যাচ আগেই নিজেদের করে নিতে সক্ষম হয় সফরকারী বাংলাদেশ।
তামিম ছাড়া সেদিন অবশ্য হাফসেঞ্চুরির দেখাও পাননি কোন ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছিলেন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকি। এছাড়াও রকিবুল হাসান ৩৫ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১ রান করেছিলেন।
এদিকে বাংলাদেশের এই রেকর্ড পরিমাণ রান তাড়া করে জয়ের দিনটি স্মরণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তারা সেই পোষ্টে লিখেছে-
'আজকের এই দিনে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার্লস কভেন্ট্রি তার অভিষেক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের হয়ে- এটি শুধুমাত্র একটি সেঞ্চুরি ছিল না... এটি প্রায় দ্বিশতক ছিল। তাঁর ১৯৪* রানের এই ইনিংসটির সুবাদে সে সাইদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিল- কিন্তু এরপরেও পরাজিত দলের কাতারে থেকেই তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়, তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের ইনিংসটি সফরকারীদের সাহায্য করেছিল সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের জন্য।'