পরিসংখ্যান বলছে, জয়ের পাল্লা বাংলাদেশের দিকে

ছবি: সেঞ্চুরির পথে তামিম। ছবিঃ- এএফপি

সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নারপার্কে চলতি (শনিবারের তৃতীয় ওয়ানডে) ম্যাচের আগে পর্যন্ত মাত্র দুইটি ম্যাচে খেলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে জয়ের দেখা পেয়েছে একটিতে (২০০৯ সালে), আরেকটিতে হেরেছে বিশাল ব্যবধানে (৯১ রানে)।
চলতি ম্যাচের আগে সবমিলিয়ে ১৭ টি ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে এখানে। তবে এই মাঠে সহজে জয় পেতে আগে ব্যাটিং করতে চাইবে যে কোনো দল। কেননা এই মাঠে আগে ব্যাট করে রান পাওয়াটা সহজ।
১৭ ম্যাচের মধ্যে ১২ টি ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে আগে ব্যাট করা দল। আর মাত্র পাঁচটি ম্যাচে জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। তবে আজ টসে হেরে আগে ব্যাট করতে না পারলেও আফসোস একটু কমই করতে পারতো বাংলাদেশ।!

কেননা এই মাঠে পাওয়া একমাত্র জয়টি টাইগাররা পরে ব্যাট করেই ছিনিয়ে নিয়েছিলো (তিন উইকেটে)। তবে আগে ব্যাট করতে পারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রান বন্যায় (৩০১) ভাসিয়েছে টাইগাররা।
ইতিহাস অনুযায়ী, এখানে আগে ব্যাট করা দল মোট সাতবার তিনশোর বেশি রান করেছে! সেই সুবাদে ওয়ানডেতে এই মাঠে আগে ব্যাট করা দলের ইনিংস গড় ২৮০ রানের বেশি, আর পরে ব্যাট করা দলের ইনিংস গড় মাত্র ২০৯!
তাই, ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ভালোই স্বস্তিতে টাইগাররা। টাইগারদের জন্য আরেকটি সুসংবাদ, এই মাঠে ২৬৬ রানের বেশি তাড়া করে জিতেনি কোন দল।
এছাড়া ওয়ার্নার পার্কে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান হচ্ছে ২৯৪ (দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০০৭)। তাছাড়া এই মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রান ২৮১ (বনাম অস্ট্রেলিয়া, ২০০৮)।
তাই বলা চলে ম্যাচ জিততে হলে অনেকগুলো রেকর্ড ভাঙ্গতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। তাই এই ম্যাচ জিতে টাইগাররা ১-২ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারে বলাই যায়।
ওয়ার্নার পার্কে সফল রান তাড়াঃ
২৬৬/২ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১৬)
২৪৯/৭ (বাংলাদেশ, ২০০৯)
২৪৮/৬ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০০৬)
১৮৮/৩ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০৭)