কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে তো?

ছবি:

দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ সামলানোর মূল দায়িত্ব প্রতিটি জেলার দায়িত্বরত কোচদের হাতে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটারদের বাছাই করা থেকে শুরু করে তাদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা রাখেন বিসিবির অধীনে কর্মরত স্থানীয় কোচরা।
তবে স্থানীয় কোচদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের গুরুতর অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যা বিসিবি কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলছে। গেইম ডেভলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদ সুজন এই ইস্যুতে সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন।
সারা দেশের স্থানীয় কোচদের সাথে কো-অর্ডিনেশন বৈঠক শেষে তিনি বলেছেন, 'অনেকসময় দেখা যায় তাদের প্রাইভেট একাডেমিগুলো থাকে। তারা একাডেমিতেও কাজ করে। সুতরাং দেখা যায় অধিকাংশ জেলায় যখন আমরা অনু-১৪, ১৬ দলগুলো করি তখন তাদের একাডেমি ছেলেগুলো প্রাধান্য বেশি থাকে।

হয়তো অন্য একাডেমি থেকে এরকম প্লেয়াররা সুযোগ পাচ্ছে না। সেইগুলো নিয়ে আমরা মনিটরিং করার চেষ্টা করছি। এবং গত বছর থেকে আমাদের এই মনিটরিং চালু হয়েছে। তো যারা এইসব করতে ব্যর্থ হবে বা এই জিনিসগুলো তাদের মধ্যে থাকবে।'
শুধু তাই নয়, বিসিবি চাইছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচদের ব্যক্তিগত একাডেমী ব্যবসা বন্ধ করতে। তার জন্য কোচদের বেতন বাড়ানোর কথাও তোলা হয়েছে বৈঠকে। বর্তমানে দায়িত্বরত কোচদের দাবী, বেতন বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করা হলেই ব্যক্তিগত একাডেমী ব্যবসা বন্ধ করবে তারা।
এছাড়া কোচদের উৎসাহ বাড়াতে বোনাসের ঘোষণা দিচ্ছে বিসিবি। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের ভাষায়, 'আপনাদেরকে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আমরা একটি ঘোষণা দিতে চাই।
অনূর্ধ্ব ১৯, জাতীয় দল কিংবা অনূর্ধ্ব ১৭ দলে যদি আপনাদের জেলার কোনও ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পায় তাহলে আপনারা একটি বোনাস পাবেন। বোনাসের অর্থের পরিমাণটি এখনই বলছি না, তবে সেটি যে বড় একটি অ্যামাউন্ট সেটি নিশ্চিত। অন্তত পাঁচ-দশ হাজার টাকা হবে না।'