টনিক সেই ২০০৭ বিশ্বকাপ

ছবি:

গানায়ার উইকেট বাংলাদেশের হয়ে কথা বলবে, এটাই প্রত্যাশিত ছিল। মাশরাফির আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে সাকিব-তামিমদের হিসেবি ব্যাটিং ও পরবর্তীতে বল হাতে মাশরাফি বাহিনীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন দেখলেই বুঝা যায়, উইকেটের চরিত্র ভালোই জানা ছিল বাংলাদেশের।
তাই তো প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর পেছনের সেই অভিজ্ঞতাকেই সাফল্যের বড় কারন হিসেবে দেখছেন কাপ্তান মাশরাফি। বিশেষ করে ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানার মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সুখস্মৃতি সাহসের জন্ম দিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাম্পে।
অধিনায়কের ভাষায়, 'আমি এখনো ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি স্মরণ করতে পারি। আমার মনে হয় এখানকার উইকেট আমাদের হয়ে কথা বলে। আজ ব্যাটিং কঠিন ছিল শুরুর দিকে। তামিম ও সাকিব খুবই ভালো খেলেছে।

'ওরাই সুরটা ধরে দিয়েছে। আর শেষের দিকে মুশফিকের ছোট্ট ইনিংসটি দুর্দান্ত ছিল। আমরা জানতাম ভালো বল করলে ২৮০ রান তাড়া করা সবসময় কঠিন। আমরা গেইল ও লুইসকে দ্রুত ফেরাতে চেয়েছি, সেটাই হয়েছে আজ। আর পরবর্তীতে আমরা ওদের ক্রমাগত চাপের মধ্যে রেখেছি এবং ফলাফল আমাদের পক্ষে গিয়েছে।'
কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফির জন্য কাজটা সহজ হওয়ার কথা ছিল না। টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের বাজে পারফর্মেন্সের পর দলকে উজ্জীবিত করতে অধিনায়ককেই বাড়তি দায়িত্ব নেয়ার কথা। দলকে পেছনের ব্যর্থতা ভুলে দেশের হয়ে মন থেকে খেলতে বলেছেন তিনি।
'না, বিশেষ কিছু বলার ছিল না। শুধু মন থেকে নিজের দেশের জন্য খেলা আর পেছনে যা হয়ে তা ভুলে নতুন উদ্যমে শুরু করা দরকার ছিল। শুরুটা ভালো করলে কাজ সহজ হয়ে যায়, সেটা মাথায় ছিল। আমরা যেটা চেয়েছিলাম সেটাই হয়েছে আজ, আশা করি এখান থেকে আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখব।,' বলেছেন মাশরাফি।
শুধু অধিনায়কত্ব দিয়ে নয়, পারফর্মেন্স দিয়েও পথ দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানুয়ারির পর লম্বা বিরতি দিয়ে ফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এসেই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনিই সেরা। ১০ ওভারে মাত্র ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন খোদ মাশরাফি।
দীর্ঘদিন পর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরার চ্যালেঞ্জ পার করা মাশরাফি বলেছেন, 'কিছুটা ক্লান্ত। তবে আমি ঠিক আছি। আমি অনেকদিন ধরেই লং রান আপে বোলিং করছিলাম না, প্রায় দুই-তিন মাসে মত। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা সবসময় একটু কঠিন, তবে আমি উপভোগ করছি।