কোনো প্রতিক্রিয়া নেই শেহজাদের!
ছবি: ছবিঃ- গেটি ইমেজ

কিছুদিন আগেই আইসিসির ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ। আইসিসির বরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেই জানা গিয়েছিলো এমন খবর।
তবে ঠিক কোন ক্রিকেটার ডোপ টেস্টে পজিটিভ সেটা তখনো জানায়নি পিসিবি। কেননা তাদের নিয়ম হচ্ছে, ডোপ টেস্টের ফলাফল সংশ্লিষ্ট দেশের ডোপিংবিরোধী সংস্থা যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমোদন না করে, ততক্ষন পর্যন্ত খেলোয়াড়টির নাম প্রকাশ করা যাবে না।
আর তাই পিসিবি নিজেদের টুইটে ঐ ক্রিকেটারের নাম জানায়নি। কিন্তু পরে তারা নাম জানিয়েছিল শেহজাদের। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের ঘরোয়া একটি ওয়ানডে টুর্নামেন্ট থেকে ডোপ টেস্টের জন্য নমুনা নিয়েছিলো আইসিসি।
সেই সময় পাকিস্তানী ওপেনার আহমেদ শেহজাদের নমুনা নিয়েছিলো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আর পরে সেই শেহজাদই এই টেস্টে পজিটিভ বলে প্রমানিত হয়। অভিযোগের বিপক্ষে শেহজাদকে আপিল করার জন্য ১৫ দিন সময়ও দিয়েছিলো পিসিবি।

কিন্তু আপিল করার মেয়াদ আগামী ২৭ই জুলাইতে শেষ হলেও এখনো নির্বিকার ভঙ্গিতেই আছেন এই পাক ওপেনার। ডন সহ পাকিস্তানী জনপ্রিয় পত্রিকাগুলোর দাবী, আপিল করবেন না শেহজাদ।
অর্থাৎ, পিসিবির দেওয়া শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। এদিকে অভিযোগ আসার সময় থেকেই সব ধরণের ক্রিকেট থেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হন শেহজাদ।
এখন আপিল না করলে বিশ্ব অ্যান্ট্রি ডোপিং সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে তাকে। ডোপিংয়ের মাত্রার ভিত্তিতে দোষী ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়ার বিধান রয়েছে আইসিসিতে যা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত হতে পারে।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ রাজা হাসান ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। অনেক সময় ক্রিকেটাররা কোনও ঔষধ সেবন করলে সেটা থেকে মনের অজান্তেই ডোপ নমুনা চলে আসে শরীরে। কিন্তু এমন কিছু হলে এতদিনে আপিল করার কথা শেহজাদের।