পেসারদের প্রতি সাকিবের বার্তা

ছবি:

অ্যান্টিগা টেস্ট দিয়ে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার ইনজুরিতে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন সাকিব।
সেইবার দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছিল তরুন সাকিবের বাংলাদেশ। এবার অবশ্য ভিন্ন চিত্র। সময়ের সাথে সাথে অভিজ্ঞতা অর্জন করা বাংলাদেশ দল এখন তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই বড় দল।
তাই অধিনায়কত্বের কাজটা আগেরবারের তুলনায় সহজ হবে বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। অ্যান্টিগা টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,
'সত্যি কথা বলতে আমি খুব একটা ভাবছি না। আমি মনে করি আগেরবারের থেকে এবারের অধিনায়কত্ব আরও সহজ হবে, কারন এখন আমাদের দল আগেরবারের তুলনায় অনেক ভালো।'

অবশ্য নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেয়া সাকিবের জন্য ভিন্ন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে তরুন ক্রিকেটারদের অধারাবাহিক পারফর্মেন্স বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
সাকিব অবশ্য তরুনদের হয়েই কথা বলেছেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি আমাদের সবাই এই সময়টা পার করে এসেছে।
সবাই ভালো শুরুর পর কঠিন সময়ের সম্মুখীন হয়। এরপর উন্নতির ধারায় বজায় রাখার সাথে কষ্ট করে যেতে হয়। যখন একজন ক্রিকেটার পাঁচ বছর বাঁধা বিপত্তির মধ্য দিয়ে যায়, তখন তার জন্য এইসব বিষয় সহজ হয়ে যায়।'
শুধু তরুনদের পারফর্মেন্স নয়, দল হিসেবে উইন্ডিজ চ্যালেঞ্জ জয় করতে হলে জ্বলে উঠতে হবে বাংলাদেশের পেসারদের। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশি পেসারদের ব্যর্থতার গল্প দীর্ঘদিনের।
টানা ব্যর্থতার ইতি দেখতে চান কাপ্তান সাকিব। স্পিনারদের মতই কন্ডিশনের সুবিধা নিতে সক্ষম হোক পেসাররা, এমনটাই চাওয়া সাকিব আল হাসানের।
'বলা কঠিন কে সফল হবে। আমাদের ফাস্ট বোলাররা দেশে ও দেশের বাইরে ব্যর্থ হয়েছে। আমার মনে পড়ে না শেষ কবে আমাদের কোন পেসার টেস্টে পাঁচ উইকেট নিয়েছে।
আমি মনে করি এই জায়গায় উন্নতি করার অনেক জায়গা আছে। আমাদের স্পিনাররা কন্ডিশনের সহায়তা পেলে দলকে সাফল্য এনে দিতে সক্ষম। আমাদের পেসারদেরও একই কাজ করতে হবে। বিসিবি ফাস্ট বোলিং ক্যাম্প করার চেষ্টা করছে, আমি মনে করি এটা আমাদের সাহায্য করবে।'