সাকিবের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

ছবি:

কদিন আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। সেই হারের ক্ষত এখনও শুকায়নি। এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ দল। এবার দারুণ কিছু করে দেখানোর মিশন টাইগারদের।
এর আগে আরও তিনবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ২০০৪ সালে প্রথম বারের মতো সাদা পোষাকে খেলেছিল তারা। তবে, মনে রাখার মতো কিছুই করতে পারেননি হাবিবুল বাশার-খালেদ মাসুদরা।
সেবার দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ড্র হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে ইনিংস ও ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
এরপর ২০০৯ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় টাইগাররা। সেবার ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরমেন্স করে বাংলাদেশ দলকে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতিয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সুখস্মৃতি।
সেবার মাশরাফি বিন মর্তুজাকে অধিনায়ক করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। তবে ইনজুরির কারণে প্রথম টেস্টেই মাঠের বাইরে চলে যান এই দেশ সেরা পেসার। সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে সাকিবই নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ দলের।

সেবার কিংসটাউনে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মাত্র ১৭ রান করে আউট হয়েছিলেন সাকিব। এরপর বল হাতে নিয়েছিলেন ২ টি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রানের সাথে ৩ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন এই অলরাউন্ডার।
বাংলাদেশ সেই ম্যাচে জয় পেয়েছিল ৯৫ রানের ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৭ রান করে আউট হলেও। বল হাতে ৫৯ রান খরচায় উইন্ডিজের ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন সাকিব।
দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ৭০ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের একাই ধসিয়ে দেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছিলেন তিনি। খেলেছিলেন ৯৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। দলকে ৪ উইকেটের জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।
সেবার সিরিজ সেরার পুরষ্কার নিজের করে নিয়েছিলেন সাকিব। ২০১৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটি সাকিব ও বাংলাদেশ দলের জন্য মনে না রাখাই ভালো হবে। সেবার এনওসি না নিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়াল লীগে খেলতে যাওয়ায় সাকিবকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সেরা ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলেছিল টাইগাররা। দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯৬ রানের পরাজয় মেনে নিতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে।
এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আবারও অধিনায়ক হয়ে ফিরছেন সাকিব। ২০১১ সাল থেকে দীর্ঘ ৬ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাকে সরিয়ে সাকিব আল হাসানকে দেয়া হয় টেস্টের অধিনায়কের দায়িত্ব।
তবে অধিনায়কত্ব পেয়ে এখনো পর্যন্ত টেস্টে মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ দলকে টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন এই অলরাউন্ডার। টেস্ট অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়ার সিরিজে ব্যাটে-বলে আবারও ২০০৯ সালের সফরের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইবেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।