বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী সালমা

ছবি:

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলতে শনিবার রাতেই দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটাররা। এরপর টি২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে নেদারল্যান্ডসে যাবেন সালমা-রুমানারা।
নভেম্বরে উইন্ডিজের মাটিতে পর্দা উঠবে নারীদের টি২০ বিশ্বকাপের। এই বিশ্ব আসরে মাঠে নামতে মুখিয়ে আছে বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ নারী দলের টি২০ অধিনায়ক সালমা খাতুন জানিয়েছেন বিশ্বকাপে খেলার লক্ষ্যের কথা।
‘অবশ্যই আমরা আশাবাদী বিশ্বকাপে উঠবো, বিশ্বকাপ খেলবো আমরা। আমাদের ওখানে ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে। মালয়েশিয়া থেকে আমরা একটা টুর্নামেন্ট খেলে এসেছি। তারপর এখানে ৪-৫ দিনের একটা ক্যাম্প করতে পেরেছি। যতটুকু করতে পেরেছি, আমাদের যে ত্রুটি ছিল ওই জায়গাটায় কাজ করেছি এবং উন্নতিও করেছি। আয়ারল্যান্ড থেকে আমরা যখন যাব(নেদারল্যান্ডস), যাওয়ার পর বুঝতে পারবো উইকেট কেমন। আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়ত একটু সময় লাগবে। সবকিছু মিলিয়ে মনে হয় আমরা ভালো করবো।’

নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দল ভারত ও পাকিস্তানের মতো বড় দলকে হারিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস আসন্ন সিরিজগুলোতেও ধরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন সালমা। বাছাই পর্বে খেলা কোনো দলকেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ দল। এমনটাই জানিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।
‘আত্মবিশ্বাস এখন দলের সব মেয়েদের মধ্যেই আছে। প্রতিপক্ষ যারাই হোক না কেনো, কাউকে ছোট করে দেখা উচিত না। অনেক সময় ছোট টিমের সাথেও খারাপ হয়ে যেতে পারে। আমার মনে হয় না আমরা ওটা করবো। এশিয়া কাপে মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ডের সঙ্গে যখন খেলেছি, তখন সেরাটা দিয়েই খেলেছি। সেখানে যে চেষ্টা ছিল, ওখানেও সেটা থাকবে। সব টিমই ভালো টিম। বাছাইপর্বে যেহেতু উঠে এসেছে।’
একটি শিরোপা জয়ই বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে নারী ক্রিকেটারদের মাঝে। ঈদের লম্বা ছুটি কাটিয়ে এবার মাঠের ক্রিকেটে ফেরার পালা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। সালমাদের সামনে এখন বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ভালো করার মিশন।
‘অনেক পরিবর্তন আসছে। কারণ এশিয়া কাপ খেলে আসার পরে আমরা সবাই বাড়ি গিয়েছিলাম। প্রায় সাড়ে তিন মাস বাড়ি যাইনি কেউ। ঈদে বাড়ি যাওয়ার পর সবার মন ফ্রেশ হয়ে গেছে। ঈদের পরেই আবার আমরা অনুশীলনের ভেতর ঢুকে গেছি, ক্রিকেটের মধ্যে ঢুকে গেছি। এখন খুব ফ্রেশ আছি। ওখানে গিয়ে ভালো খেলতে হবে। এশিয়া কাপে ভালো করেছি। সামনে আমাদের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সফল হতে হবে।’