বাংলাদেশকে আইসিসির শুভংকরের ফাঁকি

ছবি:

ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) নতুন এফটিপি ঘোষণা করেছে গত বুধবার। সেই সূচি অনুযায়ী আগামী চার বছরে ১৫৭ টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এর মাঝেই অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ২ টি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের। বাংলাদেশের সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে কেবল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এখানে একটি শুভংকরের ফাঁকি দিয়েছে আইসিসি।
ক্রিকেটে বড় দল বলতে আমরা বুঝি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের ম্যাচগুলোর বাইরে এ চার দলের সঙ্গে বাংলাদেশ আগামী সাড়ে চার বছরে মাত্র ২৬ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এর মাঝে মাত্র ৮ টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল।
আর ২০২৩-এর মার্চের আগে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলাই হচ্ছে না টাইগারদের। এদিকে এই সূচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে কোনো টি২০ সিরিজ রাখা হয়নি। ২০২২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ভাগে দুটো টেস্ট আর তিনটি ওয়ানডে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রতিবেশী দেশ ভারত অবশ্য উদারতাই দেখিয়েছে। ৩টি করে ওয়ানডে ও টি২০ খেলার পাশাপাশি ৪টি টেস্টও খেলবে তারা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে আগামী চার বছরে চেনা দুই প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই বেশি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
জুলাইয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এ সফর দিয়ে শুরু হচ্ছে ৩৩ ম্যাচের লম্বা যাত্রা। টাইগাররা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে ২৮টি ম্যাচ। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড মিলে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ২৭টি ম্যাচে।
এর মাঝে তারা ৩টি সাদা পোশাকের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অতীতে অনেক ম্যাচ খেললেও নতুন এফটিপিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের সংখ্যা কমে গেছে।
সব সংস্করণ মিলিয়েই দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মাত্র ১১বার দেখা হবে দুই দলের। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও টি২০ মিলিয়ে ১০ টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। তবে নিয়মিতই কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। দুদল ২২ টি ম্যাচ খেলবে নিজেদের মধ্যে।