খোলনচে পাল্টে ফেলা হচ্ছে নারী দলের

ছবি:

ভারতের মতো শক্তিশালী একটি দলকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জেতায় সকলের অভিনন্দনে সিক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দারুণ এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও।
তাঁর মতে মূলত টুর্নামেন্টের আগে গত কয়েক মাস ব্যাপী যে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিলো তারই সুফল এশিয়া কাপে পেয়েছে টাইগ্রেসরা। সোনারগাঁ হোটেলে সালমাদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে পাপন বলেছেন,
‘আসলে আমাদের তো এতগুলো মেয়ে খেলতো না আগে, সেরকম পাওয়া যেতো না যারা দেশকে ভালোভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। তবে আমরা পেয়েছি, শুধু তাই নয় সবথেকে বড় কথাটি হচ্ছে সাধারণত আমরা ছেলেদের একটি সিরিজ খেলার আগে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিনের একটি ক্যাম্পের ব্যবস্থা করি। কিন্তু দেখেন এবার আমরা ওদের জানুয়ারিতে একটি ক্যাম্প করেছি খুলনাতে, এরপরে ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজারে এবং সিলেটে মার্চ এবং এপ্রিল এই লম্বা সময় ধরে তাদের যে ক্যাম্প করা হয়েছে, রেসিডেনসিয়াল ক্যাম্প এটা কিন্তু আমাদের এখানে নজীর বিহীন।‘

ছেলেদের মতো এবার মেয়েদের কোচিং স্টাফেও এসেছে অনেক পরিবর্তন। ভারতের থেকেও কোচ উড়িয়ে এনেছে বোর্ড মেয়েদের জন্য। পাশাপাশি সহকারি কোচও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সুতরাং মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য যে বোর্ড কম করছে না তা অনেকটা চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিলেন পাপন। তিনি বলেন,
‘এই টুর্নামেন্টটিকে সামনে রেখে কিন্তু আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। শুধু তাই নয়, আপনারা জানেন যে ছেলেদের ক্ষেত্রে বিদেশি কোচ ছিলো সবসময়, মেয়েদের ছিলো না। আমরা আগেও বিদেশি কোচ এনেছি দুবার এবং এবার যখন দেখেছি যে আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী পাচ্ছি না আমরা কিন্তু পুরো সেট পরিবর্তন করে দিয়েছি। এবার আমরা ভারতের যে মহিলা দলের হেড কোচ ছিলো তাঁকে নিয়ে এসেছি, আমরা সহকারি কোচ এনেছি।‘
অবশ্য শুধু কোচ কিংবা সহকারি কোচই নন, পরিবর্তন আনা হয়েছে মেয়েদের ফিজিও নিয়োগের ক্ষেত্রেও। অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন কোয়ালিফাইড এবং সার্টিফাইড ফিজিও আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বোর্ড প্রধান। তাঁর ভাষ্যমতে,
‘ফিজিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো, অস্ট্রেলিয়ার সার্টিফাইড এবং কোয়ালিফাইড একজন মহিলা ফিজিওকে আমরা এই প্রথম এই দলের সাথে এনেছি। কাজেই বোর্ড থেকে ওদের জন্য কিছু করা হচ্ছে না এমনটা যদি মনে হয় সেটি ভুল। বোর্ড কিন্তু আসার পর থেকেই গত তিন বছর ধরে মেয়েদের নিয়ে কাজ করছি। আমরা ছেলেদের জন্যও করেছি। তবে ফলাফল মেয়েরা এনে দিয়েছে।‘