দ্রুত উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

ছবি:

প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মালয়শিয়ার কুয়ালালামপুরে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আর এশয়া কাপের ফাইনালে হারমানপ্রীত কাউরের দলকে মাত্র ১১২ রানে বেঁধে ফেলতে সক্ষম হয়েছে রুমানা সালমারা।
এরপর মামুলি এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্পিনার একতা বিস্তের প্রথম ওভারটি দেখে শুনে খেললেও দ্বিতীয় ওভারেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন ওপেনার আয়েশা রহমান। পেসার শিখা পান্ডের করা সেই ওভারের তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে পর পর দুইটি চার মারেন আয়েশা।
তবে দুই বল হাতে থাকলেও সেই ওভারে পায়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় পেসার শিখা। এরপর থেকে দারুণ বুঝে শুনে খেলা শুরু করেন দুই ওপেনার আয়েশা এবং শামিমা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ছাপ ফুটিয়ে তুলে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
কিন্তু দলীয় সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে এসে টাইগ্রেসদেরকে বিপদে ফেলে দেন ভারতীয় স্পিনার পুনম যাদব। আয়েশা রহমানকে ঝুলন গোস্বামীর হাতে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান পুনম। এর ঠিক পরের বলেই শামিমা সুলতানাকেও একই কায়দায় আউট করেন তিনি।
অবশ্য এরপর দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফারজানা হক এবং নিগার সুলতানা ব্যাটিংয়ের হাল ধরে দলকে কিছুটা বিপদ মুক্ত করছিলেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে দলীয় অর্ধশতকও পার করে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ৫৫ রানের মাথায় ফারজানাকে উইকেট রক্ষক তানিয়া ভাটিয়ার হাতে ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার তুলে নেন পুনম।

ফলে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগ্রেসদের স্কোর দাঁড়িয়েছে ৩ উইকেটে ৬০ রান (১৩ ওভার)। ক্রিজে আছেন রুমানা আহমেদ (৩) এবং নিগার সুলতানা (১১)।
এর আগে আজকের ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক সালমা খাতুন। পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ভারত।
রুমানা, সালমা, খাদিজাদের দুর্দান্ত স্পেলে অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। হারমানপ্রীত ৪২ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটি না খেললে হয়তো আরো কম রানে গুঁটিয়ে যেতো ভারত।
মূলত তাঁর দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই ৯ উইকেটে পুরো ওভার শেষ করতে সক্ষম হয়েছে ভারত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান করেছেন মিতালি রাজ এবং ভেদা কৃষ্ণামূর্তি। এছাড়াও ১০ রান এসেছে ঝুলন গোস্বামীর ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের পক্ষে খাদিজা তুল কুবরা ২৩ রানে ২টি এবং রুমানা আহমেদ ২২ রানে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়াও ১টি করে উইকেট পেয়েছেন সালমা খাতুন এবং জাহানারা আলম।
বাংলাদেশ একাদশ-
শামীমা সুলতানা, আয়েশা রহমান, ফারজানা হক, সানজিদা ইসলাম, ফাহিমা খাতুন, জাহানারা আলম, নিগার সুলতানা, রুমানা আহমেদ, সালমা খাতুন (অধিনায়ক), খাদিজা তুল কুবরা, নাহিদা আকতার।
ভারত একাদশ-
মিতালী রাজ, স্মৃতি মানদানা, হারমানপ্রীত কাউর (অধিনায়ক), দীপ্তি শর্মা, ভেদা কৃষ্ণমূর্তি, আনুজা পাটিল, ঝুলান গোস্বামী, তানিয়া ভাটিয়া, একতা বিশট, শিখা পান্ডে, পুনম যাদব।