মাশরাফির ছাত্র খেলছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে

ছবি:

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য অভিষেক দাস অরণ্য। বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্রিকেট একাডেমী (আতাউর রহমান ক্রিকেট একাডেমী) থেকে উঠে আসা এই তরুন আগামীর সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের একজন।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পাওয়া অভিষেক দাসের স্বপ্ন মাশরাফির মতই বড় তারকা ক্রিকেটার হওয়া, সর্বোচ্চ পর্যায়ে দীর্ঘদিন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন এই তরুন অলরাউন্ডার।
নড়াইলে ক্রিকেটের শুরু কিভাবে?
অভিষেক দাসঃ আমাদের এখানে দুইটি একাডেমী রয়েছে। আমার শুরুটা হচ্ছে বেসিক ক্রিকেট ক্লিনিক থেকে। এটা আমাদের তুহিন স্যারের একাডেমী। আর এখন আমি যেখানে অনুশীলন করছি, সেটা মাশরাফি ভাই এর একাডেমী (আতাউর রহমান ক্রিকেট একাডেমী)। আমার এখানে আসার পেছনে একজনের অনেক বড় অবদান। তিনি হচ্ছে সঞ্জিব বিশ্বাস সাজু, তিনি আমাদের নড়াইলের কোচ। উনার সাথে অনুশীলন করেই আমার এতদূর আসা।
একাডেমী কোচ ও মাশরাফির ভূমিকা কেমন ছিল?
অভিষেক দাসঃ প্রথমে আমার শুরুটা তুহিন স্যারের মাধ্যমে। আমার জীবনের প্রথম কোচ তিনি। তবে আমার এই পর্যায়ে পর্যন্ত আসার পেছনে অবদানটা সঞ্জিব বিশ্বাস সাজুর অবদান বেশি। উনার ভূমিকা সবসময় অনেক বেশি ছিল, অন্তত আমার জন্য। যখন যেই সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি, উনার সামনে এসে বলেছি। বলার পর তিনি চেষ্টা করছে সমাধান দেয়ার।
বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে আপনার পারফর্মেন্স কেমন ছিল?

অভিষেক দাসঃ আমি অনূর্ধ্ব ১৪, ১৬ ও ১৮... এই তিন লেভেলে খেলেছি। সর্বশেষ অনূর্ধ্ব -১৮ পর্যায়ে ভালো পারফর্ম করেই এখানে আসা। আমার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ১০ ওভার ১৮ রান পাঁচ উইকেট।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আপনার শক্তি জায়গা কোনটি?
অভিষেক দাসঃ সুইংয়ে, আমাদের পেস বোলিং কোচ জাকি স্যার সব সময় আমার সুইং আর পেস নিয়ে কাজ করে আসছে। প্রায় সবসময়ই সিমে বল ফেলার চেষ্টা করি আর সিমে অনেকটাই হিট করে। আমার বলের গতি ১৩০ এর আশপাশে।
অলরাউন্ডার হিসেবে আপনার কাছ থেকে দল উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা কেমন?
অভিষেক দাসঃ আমি আমার জায়গা থেকে সব দিয়ে চেষ্টা করি। আমার যতটুক সামর্থ্য আছে সেটা দেয়ার চেষ্টা করব। চেষ্টা করব দলের উপকারে আসতে।
আপনার আইকন কে?
অভিষেক দাসঃ আইকন বলতে অলরাউন্ডার বলতে আমি সবসময় শেন ওয়াটসনকে অনুসরণ করে আসছি। ছোট বেলা থেকেই তাকে দেখে আসছি। অলরাউন্ডার হিসেবে তাকেই অনুসরণ করি।
মাশরাফির জেলার ছেলে হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
অভিষেক দাসঃ অবশ্যই মাশরাফি ভাই এর সাথে আমার তুলনা হবে না। মাশরাফি জায়গায় মাশরাফি। আমার জায়গা থেকে আমি নিজের সেরাটা সবসময় দেয়ার চেষ্টা করব। যেহেতু তার জেলা ও আমার জেলা একই জায়গায়। তাই সবসময় তাকে অনুসরণ করে আসা হয়েছে, সে জন্যই এখানে আসা। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা সবসময় দেয়ার। আমার স্বপ্ন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা। নিজের ক্যারিয়ারে বড় কিছুরা চেষ্টা করা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ভালো পর্যায়ে খেলা।
মাশরাফি আপনাকে পরামর্শ দেয়?
অভিষেক দাসঃ হ্যা অবশ্যই, যখন নড়াইলে তার সাথে দেখা হয় তখন টিপস দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে এখন তিনি যেই পর্যায়ে আছেন, সব কিছুতেই তিনি সেরা। নেতৃত্ব, বোলিং সব কিছুতেই। এখন এই বয়সে এসে তিনি দলকে সেভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে,সেটা এক কথায় অসাধারণ। তার সবকিছুই ভালো লাগে।
সামনে এশিয়া কাপ, শ্রীলঙ্কা সফর ও বিশ্বকাপ আছে। নিজেকে কোথায় দেখতে চান ?
অভিষেক দাসঃ যেহেতু অলরাউন্ডার হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ স্কোয়াডে আছি। আমি অবশ্যই চাইব এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে খেলতে চাই। এটাই আমার প্রত্যাশা।