আইসিসির দিকে আঙ্গুল তুললেন হাফিজ

ছবি:

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত ২রা মে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ের অনুমতি পেয়েছেন পাক অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এ অনুমোদন দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছিল, 'হাফিজের বোলিং অ্যাকশন যাচাই করে দেখা গেছে তা বৈধ। তাই এখন থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই অফ স্পিনার বোলিং করতে পারবেন।'
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন তার বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। ফলে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে তাকে বোলিংয়ের অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে আইসিসি তাকে বোলিংয়ের অনুমতি দেয়।
কিন্তু অনুমতি পেয়েই আইসিসির এমন নিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। তার মতে, একজন বোলারের নিষিদ্ধ হওয়ার জন্য কোনো না কোনো বোর্ডের হাত অবশ্যই থাকে।

'এটার উপরে অনেক কিছুর প্রভাব আছে বলে আমি মনে করি। কিছু বোর্ড এখানে বাজেভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে। কিছু বোর্ডের সাথে তাদের সম্পর্ক আছে যা তারা নষ্ট করতে চায় না। তাহলে তারা কেন সকল বোলারকে এই পরীক্ষা দিতে বলে না? এই বিষয়টি কি এতোটাই কঠিন?'
এছাড়া মাঠের কর্তব্যরত আম্পায়ার অথবা ম্যাচ রেফারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। মোট চারবার বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি আরও জানান,
'আম্পায়াররা যখন আমার বোলিং অ্যাকশন যাচাই করতে চাইল, তখন দেখা গেল আমার হাত ১৬ থেকে ১৮ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকে। আমি অবাক হয়েছি খালি চোখে কিভাবে আম্পায়াররা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রী হাত বাঁকানো ধরে ফেলে, এটা কিন্তু সম্ভবই না।
'তাই বিষয়টি নিয়ে আমার সন্দেহ হয়েছে। এটা অবশ্যই সন্দেহজনক। ম্যাচ রেফারী বা মাঠের আম্পায়াররা ৩৫ ডিগ্রী পর্যন্ত হাত বাঁকানো দেখে কিছু বলে না। অথচ আমার ১৬ ডিগ্রী নিয়েই এতো কিছু!'
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ হাফিজ প্রথমবার নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ২০০৫ সালে। আর ২০১৪ সালে নতুন নিয়মে দুইবার রিপোর্টেড হন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ১২ মাস নিষিদ্ধ থাকেন বোলিংয়ে।