ফিরছেন তাসকিন, ফিরছেন রায়নাও

ছবি:

বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ এবং ভারতের সুরেশ রায়না দুজনই জাতীয় দলে ফিরেছেন দীর্ঘসময় পর। যেকারণে আসন্ন নিদাহাস ট্রফিকে অনেক গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন দুজন।
২০১৭ সালে ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের পর ফিটনেস ইস্যুর কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন সুরেশ রায়না। বাদ পড়ার ১ বছর পর নিজেকে ফিট প্রমান করে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গেল মাসে টি-টুয়েন্টি সিরিজে দলে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
তবে দলে ফিরলেও শুধু মাত্র একটি ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরও আসন্ন নিদাহাস ট্রফির জন্য তাকে দলে রেখেছে নির্বাচকরা। তাই এই সিরিজটাকে দলে জায়গা পাকা করার বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন রায়না।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে টাইগাররা যেমন ব্যর্থ ছিল তেমনি ব্যর্থ ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ফর্মহীনতার কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয় তাকে।

কিন্তু বাদ পড়ার পর হাল ছাড়েননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেই আসন্ন টি-টুয়েন্টি সিরিজের জন্য দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। যেকারণে এই সিরিজে নিজেকে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে আছেন এই পেসার।
পাশাপাশি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ডানহাতি এই পেসারকে দলে নিতে সুপারিশও করেছিলেন। কারণে তিনি শ্রীলংকার মাটিতে দলের জন্য কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন টাইগারদের কাপ্তান।
এদিকে নিদাহাস ট্রফিতে এশিয়ার তিনটি বড় দল অংশ নিচ্ছে, তাই দলীয় লড়াইয়ের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যাবে লড়াই। এমনই একটি লড়াই উপহার দিবেন ভারতের শুরেশ রায়না এবং টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ।
বাউন্সি বোলিংয়ের জন্য বেশ জনপ্রিয় তাসকিন আহমেদ। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে শুরুর দিকে নিজের পেস এবং বাউন্স দিয়ে ঘায়েল করতে সক্ষম এই তাসকিনকে মোকাবেলা করবেন শুরেশ রায়না।
বাউন্স বোলিং মোকাবেলায় তিনি পারদর্শী হলেও ইনিংসের শুরুতে সেট হতে সময় নেন। আর এই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে হবে তাসকিন আহমেদকে। জ্বলে উঠার আগেই তাকে ফেরাতে পারলে লড়াইটা সহজেই নিজের করে নিবেন তাসকিন।
আর তাসকিনের বিপক্ষে রায়না ব্যর্থ হলে ২০১৯ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে জায়গা করে নেয়াটা তার জন্য কঠিনই হবে। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান যদি ক্রিজে সেট হয়ে যান তাহলে কপাল পুড়তে পারে তাসকিন আহমেদের।