এ কোন মুস্তাফিজ!

ছবি:

মাত্র ৩ ওভার বোলিং করে বিনা উইকেটে ৩২ রান! যেখানে ইকোনমি রেট আবার ১০ এরও ওপরে। ভাবছেন এই বোলিং ফিগার কোনো আনকোরা অখ্যাত বোলারের? মোটেই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং পরিসংখ্যান এটি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে এইরূপ 'বাজে' বোলিংয়েরই দৃষ্টান্ত রেখেছেন ফিজ। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কাছে বেধড়ক মার খেয়ে রীতিমত ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থাই হয়েছে মুস্তাফিজদের।
২০১৫ সালে এই ঢাকার মাটিতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিলো মুস্তাফিজের। সেই ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেই মুস্তাফিজই যেন হারিয়ে যেতে বসেছেন কোন এক দূর অজানায়।

তানাহলে উইকেট শুন্য থেকে ইনিংস শেষ করার মতো অবস্থাতে কি তাঁকে পড়তে হয়! টি টোয়েন্টি ফরম্যাটটি এমনই যে এখানে বোলারদের কোণঠাসা অবস্থাতে পড়তেই হবে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে উইকেট কব্জা করতে পারাটাই আদতে বাহাদুরি।
সেই কাজটিতেই নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন মুস্তাফিজ বৃহস্পতিবারের ম্যাচে। আর এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উইকেট শূন্য থেকে খেলা শেষ করতে হলো তাঁকে। মুস্তাফিজের টি টোয়েন্টির পরিসংখ্যান বলছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটির আগে মোট ৪ বার উইকেট শূন্য ছিলেন তিনি।
যেখানে লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ম্যাচটি তাঁর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজে বোলিংয়ের রেকর্ড। এর আগে ভারতের বিপক্ষে ঢাকায় ২০১৬ সালের এশিয়া কাপে ৪ ওভার বোলিং করে ৪০ রানে উইকেট বিহীন থাকতে হয়েছিলো মুস্তাফিজকে।
এরপর নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও যথেষ্ট খরুচে ছিলেন ফিজ। গত বছর মাউন্ট ম্যাঙ্গানুইতে ৩০ রানের বিনিময়ে একটি উইকেটও পাননি টাইগার এই পেস তারকা। ৩০ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন অভিষেক বছরেও (২০১৫)। দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ঢাকার মাটিতেও ৩০ রান খরচ করতে হয়েছিলো কাটার মাস্টারকে।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে মুস্তাফিজের বাজে বোলিংয়ের রেকর্ডটি ছিলো গত বছরেই। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৩ ওভার বোলিং করেও ভাগ্যের শিকে ছেড়েনি ফিজের। উল্টো রান গুনেছিলেন ২৪।